ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ওমানে গ্রেফতার মুসা ডিবি কার্যালয়ে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২২
ওমানে গ্রেফতার মুসা ডিবি কার্যালয়ে

ঢাকা: মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজছাত্রী সামিয়া আফনান প্রীতি হত্যার ঘটনায় ওমানে গ্রেফতার সুমন শিকদার মুসাকে দেশে আনার পর ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে ৪টার দিকে তাকে রাজধানীর মিন্টুরোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মুসাকে বিকেল ৪টায় ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। তাকে এখন টিপু হত্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর আগে ওমান থেকে পুলিশের তিন সদস্যের একটি দল তাকে নিয়ে দেশে পৌঁছান।

এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম বলেন, ওমান পুলিশ ও আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলকে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে মুসা সম্পর্কে তথ্য দেওয়া ছিল। প্রথমে ইন্টারপোল মুসাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরে ওমান পুলিশের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়। এক পর্যায়ে তাকে ফেরত আনতে আমরা সব প্রক্রিয়াও শেষ করি।

গত রোববার (৫ জুন) বাংলাদেশ পুলিশের একটি দল তাকে ফিরিয়ে আনতে ওমানে গিয়েছিল। তারা মুসাকে নিয়ে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে ঢাকার বিমানবন্দরে নেমেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফ্লাইটটি ঢাকায় পৌঁছাতে দেরি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গত ২৪ মার্চ রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপুকে হত্যা করা হয়। সড়কে যানজটে আটকা পড়ে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

২৫ মার্চ দুপুরে নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী স্থানীয় নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা (নং-১৮) দায়ের করেন।

২৬ মার্চ রাতে বগুড়া থেকে মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ নামে একজনকে গ্রেফতার করে ডিবি। যিনি সরাসরি টিপুকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিলেন।

২ এপ্রিল মুসার ভাই সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মতিঝিল থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, চাঁদাবাজি ও দরপত্র নিয়ে আধিপত্যের দ্বন্দ্ব, রিয়াজুল হক মিল্কী হত্যার বদলা এবং বোঁচা বাবু হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ওমর ফারুকসহ স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২২
পিএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।