ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সাভারে সড়ক দুর্ঘটনা:

‘ঘুম চোখে বাস চালাচ্ছিলেন বলেই এ দুর্ঘটনা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২২
‘ঘুম চোখে বাস চালাচ্ছিলেন বলেই এ দুর্ঘটনা’

সাভার, (ঢাকা): সাভারের বলিয়াপুর এলাকায় ‌‘সেইফ লাইন’ পরিবহনের চালক মারুফ হোসেন মুন্না (২৪) ঘুম চোখে নিয়ে বাস চালানোর কারণে ট্রাক ও বাসকে ধাক্কা দেয় বলে জানিয়েছেন বাসটির আহত হেলপার (সহকারী) তানভীর আহমেদ সুলতান।

মঙ্গলবার (০৭ জুন) সকালে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেডে শুয়ে থেকে এ কথা জানান তিনি।

তার বাম হাত ভেঙে গেছে ও বাম পা কেটে গেছে। তানভীর আহমেদ সুলতান বাংলানিউজকে জানান, বাসটির পেছনে ‘সেইফ লাইন’ লেখা থাকলেও মূলত গাড়িটি সড়কে চলেছে ‘নিউ গ্রিন এক্সপ্রেসের’ ব্যানারে। কোম্পানির চারটি বাস রয়েছে। মারুফ হোসেনের বাবা ও তাঁর এক বন্ধু ওই পরিবহনের মালিক। নিহত চালক মারুফ হোসেনের বাড়ি চাঁদপুর। পরিবার নিয়ে তিনি রাজধানীর লালকুঠি বড় মসজিদের পাশে থাকেন। মারুফের সঙ্গে ১৫ বছর বাসচালকের সহকারীর কাজ করেছেন তিনি। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে মারুফের অনুরোধে কয়েক দিনের জন্য তাঁর সহকারীর কাজ করছিলেন তিনি। গত তিন বছর ধরে মারুফ বাস চালাচ্ছেন।

দুর্ঘটনার কারণ উল্লেখ্য করে তানভীর বলেন, বাসটি ঢাকা-কুষ্টিয়া-শৈলকুপা রুটে চলাচল করত। শনিবার (৪ জুন) সারাদিন গাড়ি চালিয়ে রাতে ৯টার দিকে ৪০ জন যাত্রী নিয়ে আবার আমরা ঢাকার উদ্দেশে শৈলকুপা থেকে ছাড়ি। রোববার (৫ জুন) সকালে দিকে সাভারে পৌঁছাই। শৈলকুপা ছাড়ার দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে মারুফ মাঝেমধ্যেই ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে ঘুমিয়ে পরতে থাকেন। এভাবেই তিনি গাড়ি চালাতে থাকেন। এতে আসার সময় পথে বেশ কয়েকবার আমাদের গাড়িটি ছোটো ছোটো দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। সাভারের বলিয়ারপুরে পৌঁছালে একেবারে ঘুমিয়ে গেলে আমাদের বড় ধরনের এক্সিডেন্ট হয়। এরপর বাসের চালক ও সুপারভাইজার পালিয়ে যান। আমি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।

এর আগে, রোববার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের বলিয়াপুর এলাকায় ‘নিউ গ্রিন এক্সপ্রেসের’ একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিভাজন টপকে পরমাণু শক্তি কমিশনের বাস ও একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান আরিফ, অন্তঃসত্ত্বা পূজা সরকার, কাউসার রাব্বী ও পরমাণু শক্তি কমিশনের বাসচালক রাজীব হোসেন ও ‘নিউ গ্রিন এক্সপ্রেসের’ পরিবহনের বাসচালক মারুফ হোসেন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছিল ৩০ জন। এ দুর্ঘটনার দিন রাতে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর-১৪।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২২
এসএফ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।