ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পুলিশ পরিবারের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দিলেন ডিএমপি কমিশনার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২২
পুলিশ পরিবারের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দিলেন ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা: ‘সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ হতে হবে’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ বাণীকে প্রতিপাদ্য হিসেবে ধারণ করে পুলিশ পরিবারের মেধাবী সন্তানদের অনুপ্রেরণা জোগাতে শিক্ষাবৃত্তি-২০২১ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।

শনিবার (৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে রাজারবাগের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ৭৮৪ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিক্ষাবৃত্তি দেন তিনি।

 

এইচএসসি, এসএসসি, ও-লেভেল, উচ্চ শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা সহায়তা বৃত্তি ক্যাটাগরিতে বৃত্তি দেওয়া হয়। ভালো ফলাফলের জন্য এইচএসসিতে ২৭৫ জন, এসএসসিতে ৩৩৬ জন, ও-লেভেলে ২ জন, উচ্চ শিক্ষাবৃত্তি ৮৩ জন ও শিক্ষা সহায়তা বৃত্তি পেয়েছে ৮৮ জন।

বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিনন্দন জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জাতিকে যদি উন্নত করতে হয় শিক্ষা ছাড়া উপায় নেই। আমরা যে অবস্থায় আছি তার চেয়ে একটু ভালো অবস্থানে আমাদের সন্তানদের দেখতে চাই। আর এর জন্য তাদের সুশিক্ষিত করার কোনো বিকল্প নেই।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমাদের আজকের এ সফলতা জীবনের একটা ক্ষুদ্র পদক্ষেপ। তবে প্রতিটা পদক্ষেপে সফল হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কেউ তোমাকে তার অবস্থান ছেড়ে দেবে না। তোমাকেই তোমার অবস্থান অর্জন করে নিতে হবে। জীবনে সফলতার শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই, জ্ঞান অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। কর্মক্ষেত্রে জ্ঞানের ঘাটতি নিয়ে সফল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, জীবনে ভুল করেও কখনো মাদকের সঙ্গে জড়িত হবে না। কোনো মাদকাসক্ত ব্যক্তি জীবনে সফল হয়েছে এমন একটাও নজির নেই। মাদকাসক্ত হয়ে মা-বাবার স্বপ্নকে ধ্বংস করা যাবে না। কোনোভাবেই মাদক গ্রহণের মতো পাপের রাস্তায় পা বাড়ানো যাবে না।

তিনি আরও বলেন, বাবাকে বাবা হিসেবে মূল্যায়ন করতে হবে, তার পদমর্যাদা হিসেবে নয়। প্রত্যেক বাবা-মাই তার সন্তানকে মানুষ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করে থাকেন। বাবা-মার সেই চেষ্টাকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। সন্তান যেন মানুষ হয় সে চেষ্টায় বাবা-মা কঠোর পরিশ্রম করেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রতিরোধে প্রথম বুলেটটি নিক্ষেপ করা হয় পুণ্য ভূমি রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স থেকে। একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে রাজারবাগ এলে গর্বে আমার বুক ভরে যায়। আমি এর জন্য খুবই গর্ববোধ করি। এ শিক্ষাবৃত্তি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য এ শিক্ষাবৃত্তি বৃত্তিপ্রাপ্তদের উদ্বুদ্ধ করবে। বৃত্তিপ্রাপ্তরা ভবিষ্যৎ জীবনে দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠলে সেটাই হবে আমাদের সফলতা।  

এছাড়া অনুষ্ঠানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২২
এজেডএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।