ঢাকা, সোমবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

তামাক কর বৃদ্ধিতে তামাকবিরোধী ১৮ সংগঠনের সংহতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২২
তামাক কর বৃদ্ধিতে তামাকবিরোধী ১৮ সংগঠনের সংহতি তামাক কর বৃদ্ধিতে তামাকবিরোধী ১৮ সংগঠনের সংহতি।

ঢাকা: আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি, সুনির্দিষ্ট করারোপ, সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষার দাবিতে সংহতি প্রকাশ করেছে তামাকবিরোধী ১৮টি সংগঠন।

রোববার (২৯ মে) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সংহতিতে এ দাবি জানানো হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশার সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা আহসানিয়া মিশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলাম, টোব্যাকো কন্ট্রোল রিসার্চ সেলেরর ফারহানা জামান লিজা প্রমুখ।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য কর বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাক পণ্যের
মূল্য বৃদ্ধি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত পদ্ধতি। কিন্তু কার্যকরভাবে করারোপের অভাবে বাংলাদেশে তামাকপণ্য অত্যন্ত সস্তা এবং সহজলভ্য হয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিগারেটের ব্যবহার প্রায় একইরকম রয়েছে। সার্বিকভাবে, বিদ্যমান তামাক কর ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারছে না।

বক্তব্যে আরও বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতায় ব্যাপক আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমও ব্যাপকভাবে জোরদার করা হয়েছে। সরকারের তামাকবিরোধী নানাবিধ কার্যক্রমের ফলে তামাক ব্যবহার ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। স্বল্প সময়ে তামাকের এই ব্যবহার হ্রাস সরকারের সাফল্যের স্বাক্ষর বহন করলেও বাংলাদেশে এখনও ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ (৩ কোটি ৭৮ লাখ) তামাক (ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন) ব্যবহার করেন, ধূমপান না করেও প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বিভিন্ন পাবলিক কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন (গ্যাটস ২০১৭)।

বক্তারা বলেন, তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।

এ সময় সংহতি থেকে তামাক কর বৃদ্ধির জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। সংহতি শেষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে স্মারকলিপি দেন তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর নেতারা।

সংহতিতে অংশ নেওয়া তামাকবিরোধী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমুনিকেশন প্রোগ্রাম (বিসিসিপি), এইড ফাউন্ডেশন, ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, ডেভলপমেন্ট অ্যাকটিভিস অব সোসাইটি (ডাস), ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়র (ডরপ), গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, মানস, ন্যাশনাল এন্টি টিউবারকিউলোসিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নাটাব), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা), স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন, টোব্যাকো কন্ট্রোল রিসার্চ সেল (টিসিআরসি), তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ), উন্নয়ন সমন্বয়, ভয়েস, ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট) ও প্রত্যাশা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২২
এইচএমএস/কেএআর

ছবি: শাকিল আহমেদ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।