ঢাকা, শুক্রবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মেঘনার তীররক্ষা বাঁধ দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২২
মেঘনার তীররক্ষা বাঁধ দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি স্থানীয়দের মানববন্ধন।

লক্ষ্মীপুর: মেঘনার তীর রক্ষাবাঁধ দ্রুত বাস্তবায়ন না করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা।  

শনিবার (২৮ মে) দুপুরে বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন পালন করেন।



কমলনগর উপজেলা পাটারিরহাট এলাকায় এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।  

এ সময় বক্তব্য রাখেন পাটোয়ারী হাট রক্ষা মঞ্চের সমন্বয়ক আবুল বাসার বাকি, হারুনুর রশিদ পাটোয়ারী, পাটারিরহাট হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সারোয়ার আলম সর্দার, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আকতার হোসেন পাটোয়ারী ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক ও পাটারিরহাট রক্ষা মঞ্চের সমন্বয়ক রাকিব হোসেন লোটাস প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, নদী ভাঙনরোধে মেঘনার তীররক্ষা বাঁধের জন্য একনেকে প্রায় ৩১শ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। কিন্তু বাঁধের কাজ এখনও করা হচ্ছে না। কিন্তু নদী ভাঙন অব্যাহত থাকায় বাস্তুহারা হচ্ছেন বাসিন্দারা। তারা জানান, মেঘনা নদী সংলগ্ন পাটোয়ারী হাট ইউনিয়নে তীর রক্ষা বাঁধে কোনো ধরনের কাজই করা হয়নি। ফলে নদী ভাঙন পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে পুরো পটোয়ারীরহাট বাজারসহ পুরো ইউনিয়ন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

আগামী এক সাপ্তাহের মধ্যে পাটোয়ারী হাট এলাকায় তীর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু না করলে সড়ক অবরোধ, উপজেলা পরিষদ ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন মানববন্ধনকারীরা।

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফারুক আহমেদ বলেন, বালু সংকটের কারণে মেঘনার তীররক্ষা বাঁধের ডাম্পিংয়ের কাজ কিছু দিন বন্ধ ছিল। এখন বালু সংকট কেটে যাওয়ায় আবার ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। পাটারিরহাট এলাকায় ডাম্পিংয়ের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য ঠিকাদারদের বলা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, গত ৩০ বছরে মেঘনা নদীর ধারাবাহিক ভাঙনে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার প্রায় ২৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ সময় ভিটেমাটি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় লক্ষাধিক বাসিন্দা। গত বছরের জুন মাসে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বড়খেরী ও লুধুয়াবাজার এবং কাদিরপন্ডিতেরহাট এলাকা ভাঙন হতে রক্ষাকল্পে মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন হয়। ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। একই বছরের আগস্ট মাসে প্রকল্পের টেন্ডার হয়। দ্রুত বাস্তবায়নে পুরো কাজ ৯৯ প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। উদ্বোধনের পর সামান্য কিছু জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার পর কাজ বন্ধ রয়েছে। কাজের অগ্রগতি না থাকায় উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।