ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

১০ গ্রামের মানুষের ভরসা অস্থায়ী কাঠের সেতু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২২
১০ গ্রামের মানুষের ভরসা অস্থায়ী কাঠের সেতু ঘাটাইলে ১০ গ্রামের মানুষের ভরসা অস্থায়ী কাঠের সেতু

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নে সরাসাক ও গাংগাইর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বংশাই নদীর ওপর কাঙ্খিত সেতু নির্মিত না হওয়ার চরম দুর্ভোগে রয়েছে ১০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। বর্ষা মৌসুমে নৌকা ও শুষ্ক মৌসুমে  কাঠের সেতুই একমাত্র ভরসা এলাকাবাসীর।

এলাকাবাসী দেশ স্বাধীনের পর থেকেই এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি করে আসছেন। কিন্তু এই দাবি ৫০ বছরেও পূরণ হয়নি।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ধলাপাড়া ও দেওপাড়া ইউনিয়নের গাংগাইর, সরাসাক, আমজানি, বাদে আমজানি, গোলাবাড়ি, ধলাপাড়া, মলাজানি, জুগিয়াটেংগর, নয়ারহাট, বর্গাসহ ১০টি গ্রামের মানুষকে যাতায়াত করতে হয় বংশাই নদী পারাপার হয়ে। অত্র এলাকার সরাসাক গ্রামে রয়েছে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গাংগাইর গ্রামে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া ধলাপাড়া এলাকায় রয়েছে একটি বড় বাজার, একটি কলেজ, একটি মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয় ও একটি বালিকা বিদ্যালয়। মানুষজনকে বর্ষায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই নদী পারাপার হতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়েও দুর্ঘটনায় পড়তে হয় তাদের ।
 
স্থানীয়রা জানান,  এ অঞ্চলের মানুষের টাঙ্গাইল জেলা সদরে যাতায়াত করতে হয় ঘাটাইল হয়ে। এতে সময় লাগে প্রায় দেড় ঘন্টা। অথচ এই বংশাই নদীর ওপর যদি একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয় তবে, টাঙ্গাইল জেলা সদরে যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪০ মিনিট।  

গাংগাইর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সেন্টু তালুকদার বলেন, বর্ষার সময় সঠিক সময় পার হতে না পারে না স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।  শুকনো মৌসুমেও ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হতে হয়। বংশাই নদীর ওপর সেতু নির্মাণ জরুরি।

একই গ্রামের নূরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বংশাই নদীতে সেতু নির্মিত হয় নাই। অথচ প্রতিদিন ১০ গ্রামের মানুষকে এই নদী ওপর দিয়ে পারাপার হয়ে যাতায়াত করতে হয়। আমি সরকারের কাছে এখানে দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি জানাই।

ধলাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. এজহারুল ইসলাম মিঠু ভুইয়া বলেন, আমি উপজেলা উন্নয়ন মিটিংয়ে অনেকবার জানিয়েছি যে বংশাই নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা জরুরি। বিষয়টি আমি স্থানীয় প্রশাসন ও এমপি মহোদয়কে অবগতি করেছি।  দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি হবে বলে আশা করি।

উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম লেবু বলেন, বংশাই নদীতে ব্রিজের অভাবে স্থানীয় জনগনের দুর্ভোগের কথা আমি অবহিত আছি। স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে কথা বলে এখানে যাতে একটি পাকা ব্রীজ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায় সেই ব্যবস্থা করব।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, ২৬ মে, ২০২২
ইআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad