যশোর: যশোর সদরের সুজলপুর গ্রামের ইরিয়ান গাজীকে পিটিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার (২৫ মে) বিকেলে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে আরবপুর ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় নিহত ইরিয়ান গাজীর বাবা খোরশেদ গাজী বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করেছে শরিফ গং। তারা এখনো এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং হুমকি দিচ্ছে। আমি আমার পরিবার নিয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছি। মানববন্ধনে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সাইফ সরদার। এ সময় তিন আসামিদের দ্রুত আটক করে দ্রত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সদর উপজেলার সুজলপুর গ্রামে ইরিয়ান গাজী (২৫) দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে টেনে হেঁচড়ে বের করে উঠানেই বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে। ঘটনার একদিন পর রোববার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত ইরিয়ান গাজী আরবপুর ইউনিয়নের সুজলপুর গ্রামের খোরশেদ গাজীর ছেলে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী রোববার বিকেলে লাশ নিয়ে স্থানীয় সুজলপুর বাজারে বিক্ষোভ করে। মিছিল থেকে ইরিয়ান গাজীর হত্যাকারীদের দ্রুত আটক ও বিচার দাবি করা হয়। এদিকে, ওই দিনই এই ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন ইরিয়ানের বাবা খোরশেদ গাজী।
আসামিরা হলো, সুজলপুর গ্রামের মৃত অহেদ আলীর ছেলে শরীফ (৩৫), মকবুলের ছেলে গোলাপ (৩৫), সাহেব আলীর ছেলে সাগর (৩৫), মৃত ছদু মিয়ার ছেলে আব্দুস সামাদ মিঠু (৪০), ইফাজ্জেদ হোসেন কুটি গাজীর দুই ছেলে জাকারিয়া (২৫) ও আনোয়ার হোসেন (৪০), জাহাঙ্গীর ভান্ডারির ছেলে নাহিদ (২২), বিশে গাজীর ছেলে লাবু (২৮), কিনু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩৫), আকবর হুজুরের ছেলে আতিকুর (২৫), কামারুলের ছেলে শিহাব (২০), শরিফের ছেলে আল-আমিন (২২), আকবর আলীর ছেলে আল-আমিন (২২), ভেকুটিয়া গ্রামের মহিদুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলাম (২৫) এবং রওশন আলীর ছেলে তৌহিদুল (২৫)।
তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার এসআই বিমান তরফদার জানিয়েছেন, এখনো কেউ আটক করা যায়নি। তবে এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে। আসামিরা পলাতক আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০২ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
ইউজি/এমএইচএম