ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঐক্যবদ্ধভাবে মানব পাচার প্রতিরোধের আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
ঐক্যবদ্ধভাবে মানব পাচার প্রতিরোধের আহ্বান ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: বর্তমানে অভিবাসী পাচার একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় মানব পাচার প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বুধবার (২৫ মে) রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এমন আহ্বান জানান।

মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাকারবারি প্রতিরোধ বিষয়ক এ সেমিনারের আয়োজন করে বিআইআইএসএস।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের প্রধান রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, শরণার্থী ইস্যু এখন ইউরোপে অত্যন্ত আলোচিত একটি বিষয়। যৌন নির্যাতন মানব পাচারের অন্যতম ধরণ হিসেবে উদঘাটিত হয়ে আসছে। বর্তমানে অভিবাসী পাচার একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।

মানব পাচার রোধে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, মানব পাচার রোধে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশ সরকারকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে।

বিআইআইএসএস এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান বলেন, ক্রমবর্ধমান মানব পাচার বিষয়ে বাংলাদেশ সতর্ক রয়েছে। এই জরুরি বিষয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করে ২০১২ সালে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ পাস করেছে ও জাতিসংঘের অভিবাসী কর্মী ও তার পরিবারের সুরক্ষা বিষয়ক সম্মেলনে যুক্ত হয়েছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসি আইন ২০১৩ গৃহীত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার ন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশনের (এনপিএ) অধীনে মানবপাচার দমন ও প্রতিরোধ (২০১৮-২০২২) বাস্তবায়ন করছে বলেও উল্লেখ করেন বিআইআইএসএস এর মহাপরিচালক।

বিআইআইএসএস এর চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো মানব পাচারের উৎস, গমন ও গন্থব্যস্থল হিসেবে কাজ করে। এই দেশগুলোতে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য, অভ্যন্তরীণ অভিবাসন প্রবাহ, অর্থনৈতিক ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে দুর্নীতির প্রসার, দুর্বল বিচার ব্যবস্থা, আইন প্রয়োগের অসমতা—এ সব অপরাধ বৃদ্ধিতে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে থাকে।

সেমিনারের কর্ম অধিবেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে নির্ধারিত বিষয়ে বক্তব্য দেন বিআইআইএসএস এর রিসার্চ ফেলো বেনুকা ফেরদৌসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মোহাম্মদ ওবায়দুল হক, অভিবাসী ও উদ্ধাস্তু বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনির, বাংলাদেশে নিযুক্ত আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার অভিবাসী ও সুরক্ষা বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালক ইউজিন পার্ক।

সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/সংস্থার কর্মকর্তা, বৈদেশিক দূতাবাসের প্রতিনিধি, সাবেক কূটনীতিক, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, একাডেমিয়া, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধিরা নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
পিএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।