ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গোবিন্দগঞ্জের বামনহাজরা গ্রাম রক্ষায় জিওব্যাগ ফেলছে পাউবো  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২২
গোবিন্দগঞ্জের বামনহাজরা গ্রাম রক্ষায় জিওব্যাগ ফেলছে পাউবো
 

গাইবান্ধা: বর্ষার আগেই বাঙালি নদীর তীব্র ভাঙনের শিকার হয়েছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের বামনহাজরা গ্রাম। এ ভাঙন রোধে নদীর তীর রক্ষায় কাজ শুরু করেছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।


 
মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলে নদীর তীর রক্ষা কাজ উদ্বোধন করেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ প্রধান।
 
এসময় উপস্থিত ছিলেন- গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান, জেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলতামাসুল ইসলাম শিল্পী ও মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিকসহ অনেকে।
 
এর আগে বন্যার আগে ভাঙন নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এরপর  নদীর তীর রক্ষায় কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
 
গত বর্ষা মৌসুমে এ গ্রামের একই পরিবারের চার মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে লুৎফর রহমান ও বদিউজ্জামান নামে দু’জনের কবর তলিয়ে গেছে বাঙালি নদীর গর্ভে।  

এ বছর বর্ষা আসার আগেই গ্রামের অন্তত ১০টি বাড়ি নদীতে ভেসে গেছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে গ্রামটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় দেওয়ানতলা রেলসেতুটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রেল যোগাযোগ বিঘ্নিত হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
 
তাদের অভিযোগ, মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনের এক কিলোমিটার উত্তরে দেওয়ানতলা রেলসেতুর পূর্বপাশে এ গ্রামে কখনও নদী ভাঙনের আশঙ্কা ছিল না। ওই রেলসেতুটিই ছিল গ্রামটির বাঁধ। কিন্তু কয়েক বছর আগে রেলসেতুর কিছুটা উজানে দেওয়ানতলা সড়ক সেতু নির্মাণ করা হয়। এ সেতুটির কারণে কয়েক বছর ধরে বামনহাজরা গ্রামে নদী ভাঙনের সূত্রপাত হয়। কিন্তু কয়েক বছর ধরে নদীর ওই এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ভাঙনের তীব্রতা বাড়ে।  
 
এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই বিশালাকৃতির ড্রেজার দিয়ে নদী খননের কারণে নদীর অপর পাড়ের ডান তীরে খননের কাজ শুরু হতেই বিপর্যের শুরু হয় এখানে। গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে নদীর পানি বাড়লে বালুর স্তূপ ও ড্রেজার এক ধরনের বাঁধে রূপ নিয়ে উল্টো দিকের এ গ্রামে তীব্র ভাঙনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২২
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।