ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গ্রামীণফোন কর্মীদের গ্রিন উইক পালন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২২
গ্রামীণফোন কর্মীদের গ্রিন উইক পালন

ঢাকা: পৃথিবীর সুরক্ষায় সবাইকে এক সঙ্গে এগিয়ে আসার আহ্বান গ্রামীণফোন সিইও’র রিডিউস, রিইউজ ও রিসাইকেলের (থ্রিআরস) মাধ্যমে প্রতিদিনের কাজে ‘গ্রিন
প্লেজ’ গ্রহণ এবং এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে গত ১৬ থেকে ১৯ মে ‘গ্রামীণফোন গ্রিন উইক ২০২২’ পালন করেছে গ্রামীণফোন।  

মানুষের দৈনন্দিন কাজ আর অসচেতন আচরণ কীভাবে পৃথিবী এবং পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, সে ব্যাপারে গ্রামীণফোনের কর্মীদের জানাতে এবং তাদের পরিবেশবান্ধব জীবনযাপনে উৎসাহিত করতেই ‘গ্রিন উইক’ আয়োজন করা হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছে ১৬ কোটি ৭০ লাখ মানুষের বাংলাদেশ। এ পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের আর্থ-সামাজিক জীবনে। আর এ ঝুঁকি বিবেচনা করেই টেলিনরের সঙ্গে যৌথভাবে গ্রামীণফোন এ উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে।

টেলিনরের ইভিপি, চিফ পিপল ও সাসটেইনেবিলিটি অফিসার সিসিলি হিউচ, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ইয়াসির আজমান এবং প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা (সিএইচআরও) সৈয়দ তানভির হোসেনের বৃক্ষরোপণ করার মধ্য দিয়ে গ্রিন উইক শুরু হয়। সচেতনতা বাড়ানো এবং দায়িত্বশীলভাবে কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা পরিবেশ ইকোসিস্টেম আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য যার যার জায়গা থেকে কাজ করার এখনই সময় বলে তারা বিশ্বাস করেন।  
   
গ্রিন ডেভেলপমেন্টের জন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করে ইয়াসির আজমান বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতি সাত জন বাংলাদেশির একজন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গৃহহীন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কাজের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো ধারাবাহিকভাবে উপেক্ষা করার কারণে এটি আমাদের জলবায়ুর ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। যদি এ বিষয়গুলোর সমাধান না করা হয়, তাহলে এটি পরিবেশজনিত ইকোসিস্টেমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করবে। ডিজিটাইজেশনের কারণে অনেক ইলেকট্রনিক ডিভাইস বাজারে আসছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে বিদ্যুৎ আর ডেটার ব্যবহারও। কিন্তু আমাদের একার পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব নয়; তবে, আমরা সবাই এক সঙ্গে পৃথিবীকে বদলে দিতে পারি। পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই আমরা গ্রিন উইক আয়োজন করেছি। এ গ্রিন উইক পরিবেশ সুরক্ষায় সবাইকে জীবনযাপন আর আচরণ পরিবর্তন আনতে অনুপ্রাণিত করবে এবং এ বিষয়গুলো তাদের প্রতিদিনের কাজের যুক্ত হবে বলে আমি আশা করছি।

গ্রামীণফোনে আমরা গ্রিন প্ল্যান নিয়ে কাজ করছি, সংলাপের সূচনায় বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে পার্টনারশিপ করছি এবং সমাজে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে নানা ধরনের কার্যক্রম আয়োজন করছি। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সত্যিকার অর্থেই কম্প্রিহেনসিভ মিটিগেশন স্কিম তৈরি এবং একসঙ্গে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো সবার জন্য সবুজ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে অবদান রাখবে।

উন্নত ভবিষ্যতের জন্য সবার এক সঙ্গে এগিয়ে আসার ওপর গুরুত্বারোপ করেন সিসিলি হিউচ।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে এবং সাপ্লায়ারদের সঙ্গে কাজের ক্ষেত্রে আমাদের বিজ্ঞান-ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনে আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছি। জাতীয় গ্রিডে নবায়নযগ্য জ্বালানি ইতিবাচক প্রভাব রাখবে। আর নতুন দিনের সূচনায় আমাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।

গ্রামীণফোনের সিএইচআরও সৈয়দ তানভির হোসেন বলেন, আমাদের কাজই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। যদি আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে চাই তাহলে দায়িত্বশীল আচরণ করার এবং প্রকৃতির সঠিক যত্ন নেওয়ার এখনই সময়। বাংলাদেশে ফিউচার-রেডি টেক লিডার হিসেবে উদাহরণ তৈরিতে এবং সমাজে জোট তৈরিতে উৎসাহিত করতে আমাদের অবশ্যই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে গ্রামীণফোনের কর্মীরা এ সপ্তাহটি উদযাপন করেন। এর মধ্যে ছিল শুধুমাত্র পুনঃব্যবহারযোগ্য শপিং ব্যাগের ব্যবহার, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে প্রয়োজন ছাড়া বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার না করা, মাংস খাওয়ার পরিমাণ ও খাবারের অপচয় হ্রাস করা এবং বৃক্ষরোপণ। কর্মীদের অনুপ্রাণিত করতে জিপি হাউসে একটি বুথ স্থাপন করা হয়; যেখান থেকে গ্রামীণফোনের কর্মীরা সপ্তাহজুড়ে তাদের পছন্দানুযায়ী চারাগাছ নেন।  

এছাড়া গত ১৮ ও ১৯ মে গ্রামীণফোনের কর্মীরা ‘মিট ফ্রি ডে’ ও ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ফ্রি ডে’ পালন করেন। গ্রামীণফোনের পাশাপাশি টেলিনরের সব বিজনেস ইউনিট গ্রিন উইক উদযাপন করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২২
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।