ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নৌ-খাতে বাড়বে বাজেট, বাড়াতে হবে বাস্তবায়নের সক্ষমতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫১ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২২
নৌ-খাতে বাড়বে বাজেট, বাড়াতে হবে বাস্তবায়নের সক্ষমতা

ঢাকা: আগামী বাজেটে নৌ-খাতে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হবে। শুধু বাজেট বাড়ালে হবে না।

 সে বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নৌ পথকে নিরাপদ ও গতিশীল করার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়ে 

বে-টার্মিনালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারবো। কনসালটেন্ট নিয়োগ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় প্রশিক্ষিত জনবল ও নিরাপদ জলযান, নৌ নিরাপত্তায় রাখবে অবদান এই স্লোগানকে সামনে রেখে সপ্তাহব্যাপী নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০২২ উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।  

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১৩ বছরে আমরা প্রায় ৪০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছি। আরও ৩৫ টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হবে। নৌ পথকে নিরাপদ ও গতিশীল করার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ছিল আমাদের একমাত্র সমুদ্র বন্দর। যেখানে ৯৭ ভাগ আমদানি রপ্তানি হয়। এর পাশাপাশি পয়রা বন্দর তৈরি হচ্ছে। যেখানে জুলাই মাস থেকে আমদানিকৃত গাড়ি খালাস করতে পারবো। আগামী মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল উদ্বোধন করা হবে। তার মানে ২০২৩ সালে মংলা ও চট্টগ্রামে বন্দরের সক্ষমতার পাশাপাশি তৃতীয় সমুদ্র বন্দর হিসেবে পায়রা বন্দর যাত্রা শুরু করবে। একইসঙ্গে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর করা হচ্ছে। এ বন্দর শুধু আমাদের জন্য নয় এই অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যে ভূমিকা রাখবে।  

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরতো আধুনিক যন্ত্রপাতি যুক্ত হচ্ছে এর পাশাপাশি বে-টার্মিনাল হচ্ছে। আমরা ইত্যোমধ্যে কনসালটেন্ট নিয়োগ দিয়েছি আমরা আশা করছি আগামী ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারবো। আমরা সে ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি। যখন বে টার্মিনাল হয়ে যাবে তখন এই যে জোয়ার ভাটার খেলা সেখানে আমরা বন্দি থাকবো না। ২৪ ঘণ্টা আমাদের জাহাজ আসা যাওয়া করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য বাংলাদেশের সক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী বলেননি আমাদের উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ করতে। আমাদের উন্নয়ন প্রকল্প চলেছে। আপনাদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই।  

তিনি বলেন, দেশে সড়ক পথের কাজ প্রায় শেষের দিকে, নতুন করে আর কোনো সড়ক নেওয়া হবে না। রেলও প্রতি জেলার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। আকাশ পথও অনেক এগিয়ে গেছে। নৌ-খাতে যে বাজেট দেওয়া হয়। তা ২০ ভাগ বাড়ালে নৌপথ আরো প্রসারিত হবে। আশা করছি আগামী বাজেটে নৌ-খাতে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হবে। শুধু বাজেট বাড়ালে হবে না।  সে বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। কাজেই বাজেট ব্যয়ের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আগামী বাজেটে এ খাতে অতিরিক্ত বাজেট দেওয়ার অভিপ্রায় দিয়েছেন। আমরা যদি এটা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে সরকার আরো বিনিয়োগ করবে।  
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক ও নৌযান মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি বদিউজ্জামান বাদল।

এর আগে ঢাকার সদরঘাট নৌবন্দর থেকে নৌ শোভাযাত্রার মাধ্যমে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ উদ্বোধন করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২২
জিসিজি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।