ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নেশাগ্রস্ত ছেলের মারধরে বাবা হাসপাতালে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২২
নেশাগ্রস্ত ছেলের মারধরে বাবা হাসপাতালে

ফেনী: ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় নেশাগ্রস্ত সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাড়িতে হামলা ও ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।  এ সময় তার বাবাকে মারধরও করেছেন তিনি।

এতে তার বাবার মাথায় ও দুই চোখ মারাত্মক জখন হয়েছে।  এখন তার বাবার মাথায় ২৭টি সেলাইসহ দুই চোখ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।  

মঙ্গলবার (১৭ মে) শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন ওই বাবা।  

এর আগে, সোমবার (১৬ মে) রাতে ছাগলনাইয়ার মহামায়া ইউনিয়নের নয় নম্বর উত্তর সতর এলাকার হাজী আবদুর রশিদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে পাষণ্ড ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, পাষণ্ড ছেলে সাইফুল ইসলাম একজন প্রবাসী। তিনি সম্প্রতি দেশে ফিরে মাদকের নেশায় জড়িয়ে বেপরোয়াভাবে চলছিল। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে বাবা হাজী আবদুর রউফের কাছে অভিযোগ এলে তিনি ছেলেকে বিভিন্ন সময় মাদক ও আড্ডা থেকে বিরত থাকতে শাসন করেন। একপর্যায় সোমবার রাতে ফের ডাক দিলে ছেলে সাইফুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িতে থাকা কাঠের চেয়ার ভেঙে চেয়ারের খুঁটি দিয়ে বাবার মাথায়, বুকে ও পিঠে বেদম আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা হাজী আবদুর রউফকে উদ্ধার করে প্রথমে ছাগলনাইয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।  কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, মাথায়, চোখ ও বুকে মারাত্মক জখম নিয়ে বৃদ্ধ হাজী আবদুর রউফ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে রাতেই সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। তবে, বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২২
এসএইচডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।