ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কমলগঞ্জে ১০ দিনে ১৩ গরু চুরি 

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
কমলগঞ্জে ১০ দিনে ১৩ গরু চুরি  প্রতীকী ছবি।

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় নতুন আতঙ্কের নাম গরুচুরি।  

সম্প্রতি ১০ দিনের ব্যবধানে পৃথক পৃথক দুটি বাড়ি থেকে ১৩টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।

 

চুরি হওয়া গরুগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।

জানা গেছে, সোমবার (১৫ মে) কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বালিগাঁও গ্রামের পাশাপাশি দুটি বাড়ি থেকে একই রাতে ৬টি গরু এবং শুক্রবার (৬ মে) দিনগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিগাঁও গ্রাম এবং পতনঊষার ইউনিয়নের দরগাহপুর গ্রামের বখসের বাড়ি থেকে একই রাতে ৭টি গরু চুরি হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে উপজেলার কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বালিগাঁও গ্রামের পাশাপাশি দুটি বাড়ি থেকে একই রাতে ৬টি গরু চুরির ঘটনায় গরুর মালিক জমসেদ মিয়া ও ফজলুর রহমান জানান, রাতে তাদের পৃথক বাড়ির গোয়াল ঘরে গরুগুলো বেঁধে রাখেন। সোমবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাদের গোয়াল ঘর থেকে গরুগুলো চুরি হয়ে গেছে। জমসেদ মিয়ার বড় সাইজের ২টি গরু ও ফজলুর রহমানের ছোট-বড় ৪টি গরু চুরি হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা হবে।  

গরু চুরি যাওয়ার ঘটনায় ফজলুর রহমানের ভাই আজাদুর রহমান কমলগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

এদিকে গত ৬ মে রাতে উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের দরগাহপুর গ্রামের নিজামুল বখস ও তাঁর চাচা মুমিন বখস এর বাড়ি থেকে একই রাতে ৭টি গরু চুরি হয়।  

ক্ষতিগ্রস্ত নিজামুল বখস ও তাঁর চাচা মুমিন বখস জানান, চুরি হওয়া আমাদের গরুগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা হবে।  
এ ব্যাপারে ঘটনার পর দিন তারা শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করেন।

শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, চুরির ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি এবং বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

মঙ্গলবার (১৭ মে) কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বাংলানিউজ বলেন, বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে গরুচোরদের গতিবিধি শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। আশা করি, দ্রুত তাদের গ্রেফতার করতে পারবো।

এ সমস্যাটি শুধু আমাদের উপজেলাতেই নয়, পুরো সিলেট বিভাগজুড়ে। প্রতি বছর কোরবানি ঈদের আগ মুহূর্তে গরুচোরারা সক্রিয় থাকে। তাই গরু পালনকারী মালিক বা খামারিদের আরx বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন কমলগঞ্জ ওসি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।