নাটোর: ‘৯৯৯' এ কল করে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছিলেন নাটোর জেলার বাগাতিপাড়ায় ধর্ষণের শিকার এক গৃহবধূ। কল পেয়েই ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৪ মে) সকালে উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিকেলে মন্টুকে আটকের পর সন্ধ্যার দিকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। আটক মন্টু উপজেলার দয়ারামপুর মিশ্রিপাড়া গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে।
রাতে এতথ্য নিশ্চিত করে বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার বাসিন্দা ওই গৃহবধূর পার্শ্ববর্তী উপজেলা বড়াইগ্রামের মাধাইমুড়িয়া গ্রামের আফছারের ছেলে শরিফের সঙ্গে বেশ কিছুদিন হলো ধর্ম ভাই-বোন সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সেই সুবাদে গত বৃহস্পতিবার (১২ মে) শরিফের বাড়ি বড়াইগ্রামে বেড়াতে আসেন ওই গৃহবধূ। পরদিন শুক্রবার (১৩ মে) শরিফের সঙ্গে বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর এলাকায় ঘুরতে আসেন তিনি। শরিফ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় যুবক মন্টুর সঙ্গে তার বাড়িতে পাঠায় ওই গৃহবধূকে।
পরে মন্টু তার নিজ ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের চেষ্টা করলে গৃহবধূ কৌশল করে গ্যাসের ওষুধ আনতে পাঠায় মন্টুকে। আর এই সুযোগে ট্রিপল নাইন (৯৯৯) এ কল করে পুলিশের সহযোগিতা চান। তবে নির্দিষ্ট করে সঠিক ঠিকানা জানাতে পারেননি তিনি।
পরে '৯৯৯' থেকে তার কাছে পাঠানো মেসেজ বাগাতিপাড়া থানার ডিউটি অফিসারকে দিলে সেখানে কল করে তিনি সহযোগিতা চান। ইতোমধ্যে মন্টু ফিরে এসে আবারও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে ধারালো বটি দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোর করে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে মন্টু।
এদিকে পুলিশকে নির্দিষ্ট করে সঠিক ঠিকানা বলতে না পারলেও শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে দয়ারামপুর এলাকা থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। একই সঙ্গে অভিযুক্ত মন্টুকেও আটক করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, ট্রিপল নাইনে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে অভিযুক্ত মন্টুকে আটক করে থানায় আনা হয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তকে শনিবার সন্ধ্যায় নাটোর আদালতে পাঠানো হয়। এছাড়া ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গৃহবধূকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৬ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২২
আরএ