ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বাবার নামে অভিযোগ তুলে ৪ মেয়ের সংবাদ সম্মেলন!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২২
বাবার নামে অভিযোগ তুলে ৪ মেয়ের সংবাদ সম্মেলন!

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় বাবার নামে সন্তানদের নির্যাতন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন চার মেয়ে।

বুধবার (১১ মে) দীঘিনালার হোটেল ইউনিটি কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের চংড়াছড়ি এলাকার সোহরাব হোসেন সওদাগরের নামে এ অভিযোগ তুলে ধরেন তারই মেয়ে মারুফা আক্তার, খাদিজা আক্তার, জেসমিন আক্তার ও সুমাইয়া আক্তার।

সংবাদ সম্মেলনে দ্বিতীয় কন্যা খাদিজা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমাদের মা পরিতন নেছা গত ১৯ বছর আগে ইন্তেকাল করেন৷ মায়ের মৃত্যুর এক মাস পর আমার বাবা সোহরাব হোসেন সওদাগর আমার আপন খালা ফাতিমা আক্তারকে বিয়ে করেন।  উনার গর্ভে দুই পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।  দুই পুত্র সন্তান জন্ম নেওয়ার পর থেকেই সৎ মায়ের কু-পরামর্শে বাবা আমাদেরকে দিন দিন অবহেলা করতে শুরু করেন। আমার বড় বোন মারুফা আক্তারের বিয়ের কিছু দিন পর আমার সৎমায়ের সেলাই মেশিন ধরাকে কেন্দ্র করে আমাকে রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং আমার বইখাতা পুড়িয়ে দেয়। এসময় আমি আমাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী চংড়াছড়ি আর্মি ক্যাম্পে আশ্রয় নিই৷ যা সামাজিক বিচারকরা অবগত। গত ৮ বছর আগে আমার বাবা আমাদের তিন বোনকে ঘর থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে আমার বড় বোন মারুফা আক্তার ও তার স্বামী ফজলুল করিম আমাদেরকে আশ্রয় দেয় এবং আমাদেরকে পড়ালেখার যাবতীয় খরচ বহন করেন।  

এ সময় তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আমি খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেছি। আমার ছোটবোন জেসমিন আক্তার দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজ হতে স্নাতক পাস করেছে। পাশাপাশি আমার ছোট বোন সুমাইয়া আক্তার দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে। আমার ছোটবোন জেসমিন আক্তারকে গত ৭ বছর আগে আমার বাবা রড দিয়ে মারধর করেন। এ সময় ওর একটি হাত বিকলঙ্গ হয়ে যায়। পাশাপাশি এ কারণে কম শুনতে শুরু করে। আমার বাবা বিভিন্ন সময়ে আমাদের চরিত্র নিয়ে সমাজে কুৎসা রটিয়ে আমাদের বিয়ে ভেঙে দেয়। সম্প্রতি চংড়াছড়ি আর্মি ক্যাম্প সংলগ্ন খাস ভূমিতে আমার বড়বোন মারুফা আক্তার ও ভগ্নিপতি ফজলুল করিম একটি ঘর তৈরি করতে গেলে আমার বাবা তার দ্বিতীয় সংসারের স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আমার ভগ্নিপতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। আমার বাবা সৎ মায়ের কুপরামর্শে আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন, হয়রানি, মামলার পাশাপাশি পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করছেন। আমরা প্রাপ্ত বয়স্ক তিন বোন বর্তমানে নিরুপায়। বাবা আমাদেরকে সন্তান হিসেবে স্বীকারও করেন না। আমরা আমাদের অধিকার চাই। এ বিষয়ে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সচেতন ব্যক্তিদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২২
এডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।