সিলেট: হবিগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে গত ৬ মে আপন ও চাচাতো ভাইদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন শাহজাহান মিয়া (৪০)।
খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ৩ জনকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)।
গ্রেফতাররা হলেন- হবিগঞ্জ সদরের সুখচর গ্রামের মৃত মরম আলীর ছেলে জয়নাল মিয়া (৩২), মৃত কুদ্দুছ আলীর ছেলে বিলাল মিয়া (২৮) ও তার সহোদর আকছির মিয়া (৩২)।
এদের মধ্যে হত্যা মামলার প্রধান আসামি জয়নালকে ঢাকার মগবাজার থেকে, ২ নং আসামি বিলাল মিয়াকে কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকা থেকে এবং ৩ নং আসামি আকছির মিয়াকে একই রাত আড়াইটার দিকে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতারদের নিয়ে বুধবার (১১ মে) র্যাব-৯ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, গত ৬ মে (শুক্রবার) দুপুর দেড়টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হবিগঞ্জ সদর থানাধীন সুখচর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে শাহজাহান মিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
ঘটনার পর গত ৮ মে নিহতের স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে ১৪ জনের নামোল্লেখপূর্বক আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর এ বিষয়ে র্যাব-৯ গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৯ এর একটি দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেফতার করে।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানায়, গত ৬ মে দুপুর দেড়টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে তাদের নেতৃত্বে ১৫/১৬ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শাহজাহান মিয়ার বসতবাড়ির উঠানে তার ওপর আক্রমণ করে। এ সময় শাহজাহানকে ধারালো লোহার শিকল দিয়ে কাধে, হাতে, বুকে ও পেটে আঘাত করা হলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এছাড়াও আরও ৩ জন গুরুতর জখম হন। আহতদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে আসামিদের স্বীকারোক্তিতে ঘটনার সঙ্গে প্রধান ৩ আসামি আপন ভাই জয়নাল মিয়া এবং তাদের চাচাতো দুই ভাই বিলাল মিয়া ও আকছির মিয়ার সংশ্লিষ্টতা মিলেছে।
ঘটনায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার ও পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে জানিয়ে র্যাব কর্মকর্তারা বলেন, গ্রেফতার ৩ আসামিকে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২১
এনইউ/এনএসআর