চাঁদপুর: ইলিশের রাজধানী নামে খ্যাত চাঁদপুরের বড় স্টেশন প্রধান ইলিশের আড়ৎগুলো ফাঁকা। ইলিশসহ অন্য মাছের আমদানি কম থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (৪ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় মাছ ঘাটে গিয়ে দেখা যায় ঘাটের পন্টুনে কোনো মাছের ট্রলার নেই। শ্রমিকদের সংখ্যাও খুব কম। মাত্র কয়েকটি আড়তে বসে আছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী ও কর্মচারী। কয়েকটি আড়তের সামনে সামান্য সংখ্যক ইলিশ বরফ দিয়ে বিক্রির জন্য বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। অন্য প্রজাতির মাছের আমাদানি না থাকায় কোনো খুচরা ব্যবসায়ীর দেখা মিলেনি।
ইলিশ কিনতে আসা ক্রেতা সোলাইমান বাংলানিউজকে বলেন, অধিকাংশ আড়ৎ বন্ধ। কয়েকটিতে স্বল্প সংখ্যক ইলিশ আছে দাম খুব বেশি। যে কারণে ইলিশ কিনতে পারেনি।
মেসার্স তাজু ভুঁইয়া আড়তের ব্যবসায়ী দিদার হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, ইলিশের আমদানি কম থাকায় বড় সাইজের কয়েকটি ইলিশ বিক্রির জন্য বসে অপেক্ষোয় আছেন। প্রতিটি ইলিশ ওজনে দুই থেকে আড়াই কেজি। প্রতি কেজির মূল্য ২৫০০ টাকা।
মেসার্স মিজানুর রহমান কালু ভুঁইয়া মৎস্য আড়তের ম্যানেজার ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, ইলিশের আমদানি খুবই কম। আজকে নোয়াখালি, লক্ষ্মীপুর থেকে ট্রাকে করে এবং চাঁদপুরের লোকালসহ সবগুলো আড়ৎ মিলিয়ে ১৫-২০ মণ ইলিশ বিক্রি হয়েছে। দাম অনেক বেশি। ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৯০ হাজার টাকা মণ। ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের মণ ৭০ হাজার টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিমণ ৪০ হাজার টাকা এবং আড়াইশ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ২৪ হাজার টাকা।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিমেটড এর সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. শবে বরাত বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের লোকাল পদ্মা-মেঘনা নদীর খুব কম সংখ্যক ইলিশ আমদানি হচ্ছে। প্রতিদিন ১০-২০ কেজি ইলিশ বিক্রির জন্য আসে। ১ কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ২ হাজার টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০-১৩০০ টাকা, ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৮০০ টাকা।
তিনি আরো বলেন, আমাদের আড়ৎগুলোতে মাঝে মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে কিছু ইলিশ আমদানি হয়। এখন ইলিশের মৌসুম না। যে কারণে ইলিশ নেই। সামনে মৌসুমে আশা করছি জেলেরা ইলিশ পাবে, তখন আমদানিও বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২২
এনটি