ফরিদপুর: ঈদকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে হঠাৎ বেড়েছে বিভিন্ন প্রকার বাজির উপদ্রব। ফরিদপুর শহরসহ জেলার বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরা দেদারসে কিনছে এসব বাজি।
ফরিদপুরের একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, এসব বাজি অচিরেই নিষিদ্ধ ঘোষণাসহ প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দরকার। তা না হলে এর রেশ টানা কঠিন। উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরা এসব বাজিতে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। তারা, বাবা-মার কাছে থেকে টাকা নিয়ে দেদারসে কিনছে এসব বাজি। বাজির শব্দে মানুষ অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঘটছে অহরহ দুর্ঘটনা।
প্রশাসনের কঠোর নজরদারির অভাবে কোনো প্রকার বাধাবিঘ্ন ছাড়াই এসব বাজি ফুটালেও কোনো প্রকার রেশ টানা যাচ্ছে না। প্রশাসন এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিবে এমনটাই প্রত্যাশা ফরিদপুরবাসীর।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ ইমদাদ হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ এবং থার্টি ফার্স্টসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামে পটকা বাজি, আতশবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের বাজি ফোটানের রেওয়াজ দেখা যায়। এসময় বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয়দের সচেতনা করা হয়ে থাকে। তবে, বোমা কিংবা ককটেল ফোটানো বন্ধে স্থায়ী আইন থাকলেও পটকা বাজি ও আতশবাজি ফোটানো বন্ধে তেমন শক্ত কোনো আইন নেই। তবে, এসব বাজি ফোটানো বন্ধে পুলিশ কাজ করে থাকে।
তবে সমাজের সব শ্রেণির মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি কমিয়ে আনা সম্ভব বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২২
এনটি