ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এবার ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করলেন সেই চেয়ারম্যান

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২২
এবার ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করলেন সেই চেয়ারম্যান

এবার ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করলেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী। তার এই দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম তাহমিনা আক্তার মিনা (২২)।

তিনি মৌতলা ইউনিয়নের মাজেদের মেয়ে।  

গত কয়েক মাস আগে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে সাঈদ মেহেদীর এই বিয়ের একটি ভিডিও। ভিডিও ভাইরাল হলেও বিষয়টি তখন ধোঁয়াশার মধ্যে রাখেন তিনি। তবে এবার এই বিয়ের কথা স্বীকার করলেন চেয়ারম্যান।
বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টারে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। তবে দ্বিতীয় বিয়ে করায় তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে বিরোধ চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

কোয়ার্টারের আশপাশে বসবাসরত অনেকে জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস যাবত উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টারের ভেতরে দিনরাত এক  তরুণীকে দেখতে পাওয়া যায়। তবে মাঝেমধ্যে কোয়ার্টারের ভেতর থেকে মারপিটের শব্দ শোনা যায়। প্রতিদিন সাহরির সময় চেয়ারম্যান কাউকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। সেইসঙ্গে প্রচণ্ড মারপিটেরও শব্দ শোনা যায় বলে জানান তারা। তার সঙ্গে থাকা ওই তরুণীকে মারধর ও গালিগালাজ করতে পারেন বলে তাদের ধারণা।

এর আগে ২০১৩ সালে আবাসিক হোটেলে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয় উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর বিরুদ্ধে।

জানা যায়, দ্বিতীয় স্ত্রী তাহমিনা আক্তার মিনা ছিলেন সাঈদ মেহেদীর প্রথম স্ত্রীর ছেলে অনিক মেহেদীর বান্ধবী। ২০১৮ সালে মিনা ও অনিক মৌতলা শিমুরেজা এমপি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান থাকাকালীন মিনার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী । গত কয়েক বছর আগে তিনি ওই মেয়েকে বিয়ে করেন। বহুদিন চেয়ারম্যানের দ্বিতীয় বিয়ের কথা শোনা গেলেও বিষয়টি অস্বীকার করতেন তিনি।

দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেন। তার কোয়ার্টারে দ্বিতীয় স্ত্রী মিনা বর্তমানে অবস্থান করছেন। তাকে চার বছর আগে তিনি বিয়ে করেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

কোয়ার্টারে মারপিট ও গালিগালাজের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার পারিবারিক বিষয় নিয়েও আপনার সঙ্গে বলতে হবে নাকি?’ এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।  

উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রথম স্ত্রী লাভলী পারভীন জানান, তার স্বামীকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে মিনা। এখন তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টারে অবস্থান করছেন।  

এ বিষয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী তাহমিনা আক্তার মিনার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।  

সৌজন্যে বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।