ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদযাত্রা

সিডিউল বিপর্যয় মেনে নিয়েই চলতে হবে ট্রেনে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২২
সিডিউল বিপর্যয় মেনে নিয়েই চলতে হবে ট্রেনে

ঢাকা: কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাচ্ছে ঈদযাত্রার ট্রেন। এবার ভিড় অন্য ঈদের মতোই।

সঙ্গে রয়েছে ট্রেনের সিডিউল বিড়ম্বনাও। প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরি করেও ছাড়তে দেখা গেছে কোন কোন ট্রেন।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ২টা পর্যন্ত কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ২২টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক ট্রেন ছেড়েছে নির্দিষ্ট সময়ের আধা ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা বিলম্বে।

ঈদযাত্রার প্রথম দিনেই ট্রেনের এমন বিলম্বে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঘরমুখো মানুষ। তবে সিডিউল বিপর্যয় মেনে নিয়েই চলতে হবে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে কমলাপুর রেল স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, বুধবার থেকে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে অনেকগুলো ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে। পশ্চিমাঞ্চলে জয়দেবপুর থেকে পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত স্টেশনগুলো একটা থেকে আরেকটার দূরত্ব অনেক বেশি এ কারণে ক্রসিংয়ে সময় একটু বেশি লাগে। এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশনের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার, একটা ট্রেন গেলে অন্য আরেক আসতে বা যেতে পারে না। অপারেটিং সিস্টেমের কারণেও ট্রেন কিছুটা বিলম্ব হয়। আমাদের প্রস্তুতি ও চেষ্টা রয়েছে যেন এবারের ঈদ যাত্রায় বড় ধরনের সিডিউল বিপর্যয় না হয়। তবে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর কিছুটা বিলম্ব এবং সিডিউল বিপর্যয় হতে পারে এবং সেটা আমাদের মেনে নিয়েই চলতে হবে।

বুধবার ভোর ৬টায় রাজশাহীগামী ধূমকেতু ট্রেনের মাধ্যমে ঈদ যাত্রা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শিডিউল বিপর্যয়ে পড়ে। পরে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ৬টা ২০ মিনিটে আনুষ্ঠানিক ঈদযাত্রা শুরু হয়। এরপর ধূমকেতু ট্রেনটি ৫৫ মিনিট দেরিতে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে।

সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার পর সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেসের। কিন্তু ট্রেনটি সকাল ৭টা পর্যন্ত প্ল্যাটফর্মে আসেনি। পরে সাড়ে ৭টার দিকে এটি ছাড়ে। আর সকাল ৭টার ট্রেন চট্টগ্রাম অভিমুখী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ৪ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ছেড়ে গেছে সঠিক সময়েই।

এছাড়া খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস আধঘণ্টা দেরিতে ৮টা ৪৫ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী কমিউটার পৌনে ৯টায় ছাড়ার কথা থাকলে সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে কিছুটা দেরিতে ছেড়ে যায়।

সকাল ৯টা ১০ মিনিটে রংপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা 'রংপুর এক্সপ্রেসের'। কিন্তু এটি প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরি করে ছেড়ে যায় সকাল সাড়ে ১০টায়। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে রাজশাহী কমিউটার ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (দুপুর ২টা ২০ মিনিট) ট্রেনটি প্লাটফর্মে এসে পৌঁছায়নি। রাজশাহীগামী বনলতা এক্সপ্রেস দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে। এছাড়া অন্যান্য ট্রেনেও আধঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা দেরি রয়েছে।

এদিকে ঈদযাত্রার প্রথম দিনের ট্রেনেই বিলম্বে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ঘরমুখো মানুষ। বনলতা এক্সপ্রেসে রাজশাহী যাবেন মো. ফারুক। দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি বলেন, আমাদের ট্রেন ১টা ৩০ মিনিটে ছাড়ার কথা। ট্রেন প্ল্যাটফর্মেই এসেছে দেরিতে। এখন ছাড়তে মনে হয় আরও দেরি হবে। ঈদযাত্রার প্রথম দিনের ট্রেনেই বিলম্ব। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা অপেক্ষার পর টিকিট পেয়েছিলাম। স্টেশনেই কাউন্টারের সামনে সারারাত লাইনে অপেক্ষা, আড্ডা দিয়ে সময় পার করে টিকিট করা। এখন আবার সেই একই দৃশ্য। তবে ঘরে ফিরতে পারব এটাই শান্তি।

বাংরাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, ২৭ এপ্রিল, ২০২২
এইচএমএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।