ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নড়াইলে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে পৌর মেয়রের সঙ্গে অশ্লীল আচরণের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২২
নড়াইলে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে পৌর মেয়রের সঙ্গে অশ্লীল আচরণের অভিযোগ

নড়াইল: নড়াইলে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিলয় রায় বাধনসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে পৌর মেয়র আনজুমান আরাকে হুমকি ও অশ্লীল আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এতে পৌর এলাকার সেবাবন্ধের আলটিমেটাম দিয়েছে পৌরপরিষদ।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে নড়াইল পৌরসভায় মেয়রের কক্ষে এ হুমকির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় পৌর পরিষদের জরুরি সভায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে পানি ও সড়কের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার ষোষণা দেয়। না হলে পরবর্তীতে অন্যান্য সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।

পৌর মেয়রের সভা কক্ষে মেয়র আনজুমান আরার সভাপতিত্বে সভায় প্যানেল মেয়র-১ কাজী জহিরুল হক, প্যানেল মেয়র-২ রেজাউল বিশ্বাস, কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু, সচিব ওয়াবুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী কবির হাসান, হিসাবরক্ষক মোঃ সাইফুজ্জামানসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

নড়াইল পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পৌর মেয়র আনজুমান আরার কক্ষে দুপুর সাড়ে ১২টায় প্যানেল মেয়র কাজী জহিরুল হকের সাথে হাট-বাজার, বাস টার্মিনালসহ ৫টি গ্রুপের টেন্ডার নিয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় কক্ষে অবস্থান করা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিলয় রায় বাধন, ছাত্রলীগ কর্মী উচ্ছ্বাস ও শাওন টোলের টাকা ভাগ নিয়ে পৌরমেয়রকে নানা কথা বলে। মেয়র এসবের প্রতিবাদ করলে তারা মেয়রকে অশ্লীল গালিগালাজ ও বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধমকি দেয়।

এ ঘটনার পর পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে নড়াইল ২ আসনের এমপি মাশরাফি বিন মোর্তজা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর থানা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিলয় রায় বাধন বলেন, আমরা পৌরসভায় গিয়েছিলাম হাটবাজার টেন্ডারের ৩টি কাজের বিডি ফেরত আনতে। সেখানে কিছু বিষয়ে কথাকাটাকাটি হয়েছে। কিন্তু মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে কোনো অসৌজন্যমূলক আচরণ আমরা করিনি।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির বলেন, নড়াইল পৌর মেয়র আমাকে ফোনে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। এখনও লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পৌর মেয়র মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনজুমান আরা বলেন, তারা অস্ত্র নিয়ে সজ্জিত ছিল, আমি এখন আর জীবনের ভয় পাই না। আমার কাছ থেকে জোর করে টেন্ডারবাজী চলবে না। কেউ না থাকলেও আমি একাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বো। আমি নিজেই বাদি হয়ে থানায় মামলা করবো।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ৫টি গ্রুপে নড়াইল বাস টার্মিনাল, রূপগঞ্জ সাধারণ হাট, রূপগঞ্জ বাজার, পুরনো বাস টার্মিনাল কাঁচা বাজার, কসাই খানা ও নড়াইল বাজার ৩৫ লাখ টাকায় টোল সম্পন্ন হয়েছে। ১৩ এপ্রিল এসব টেন্ডারের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০২০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২২
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।