ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আইন মেনে থানার জমি বরাদ্দ হয়েছে: ডিএমপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
আইন মেনে থানার জমি বরাদ্দ হয়েছে: ডিএমপি

ঢাকা: খেলার মাঠে নয়, জনস্বার্থে সরকার কর্তৃক দেশের প্রচলিত আইনে বরাদ্দ দেওয়া জমিতেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কলাবাগান থানা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ডিএমপি কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার জমিতে বেআইনিভাবে থানা ভবন নির্মাণ করছে না বলে জানিয়েছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।

 

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।  

ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, জনস্বার্থে কলাবাগান থানার জন্য ধানমন্ডি মৌজার ০.২০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭ এর সকল বিধি-বিধান অনুসরণ করা হয়েছে। কলাবাগান থানার জন্য অধিগ্রহণকৃত ০.২০ একর জমি জরিপ অনুযায়ী সরকারি সম্পত্তি ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন।

জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, কলাবাগান থানার জন্য ০.২০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যায়। সরকারি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে রাজউকের কোনো আপত্তি নেই বলে ছাড়পত্র পাওয়া যায়। জায়গাটির প্রস্তাবিত ভূমি ব্যবহার Urban Residential Zone হিসেবে চিহ্নিত আছে বলে নগর উন্নয়নের ছাড়পত্র এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অনাপত্তিপত্র পাওয়া গেছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য ওই জমিতে এলাকাবাসীর নিরাপত্তার সুবিধার্থে স্থায়ীভাবে কলাবাগান থানা স্থাপনের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর ডিও লেটার দিয়েছেন। ঢাকা জেলা প্রশাসক সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে জমি অধিগ্রহণের জন্য সুপারিশসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ে মতামত প্রেরণ করেন। এরপর সরকারের কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটিতে কলাবাগান থানার জন্য ০.২০ একর জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

জমির ক্ষতিপূরণ মূল্য বাবদ ডিএমপি কমিশনার বরাবর ২৭,৫৪,৪১,৭১০/৯২ টাকার প্রাক্কলণ প্রেরণ করেন ঢাকার জেলা প্রশাসক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সে টাকার ব্যয় মঞ্জুরি পাওয়া যায়। ঢাকা জেলা প্রশাশককে প্রাক্কলিত টাকা চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়।

গত ৩১ জানুয়ারি ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কর্তৃক সরেজমিনে ডিএমপিকে জমির দখলভার হস্তান্তর করা হয়। কলাবাগান থানার ০.২০ একর জমি অধিগৃহীত ও দখল হস্তান্তর বিষয়ে বাংলাদেশ গেজেটের ৬ষ্ঠ খন্ডে ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়। গত ২৭ মার্চ জমির নামজারি ও জমাভাগকরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, প্রস্তাবিত থানার জায়গা তেঁতুলতলা মাঠ থেকে কিছু দূরে কলাবাগান মাঠ রয়েছে। সেখানে বাচ্চাদের খেলাধুলাসহ সামাজিক অনুষ্ঠান করার সুযোগ রয়েছে। জনস্বার্থে সরকার কলাবাগান থানা নির্মাণের জন্য প্রচলিত আইন মেনে জমি বরাদ্দ দিয়েছে। ডিএমপি কোনো ব্যক্তির বা সংস্থার জমিতে বেআইনিভাবে থানা ভবন নির্মাণ করছে না।

বিকল্প খেলার মাঠ ব্যবস্থার বিষয়টি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এখতিয়ারভুক্ত নয় বলে জানান তিনি।

তেঁতুলতলা মাঠে কলাবাগান থানা ভবন নির্মাণের প্রতিবাদ করায় এবং নির্মাণকাজের ভিডিও ধারণ করায় গত রোববার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দা রত্না ও তাঁর ছেলেকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের আটকের খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে বিক্ষোভের মুখে ওই দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুচলেকা নিয়ে সৈয়দা রত্না ও তাঁর ছেলেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

আরও পড়ুন:
তেঁতুলতলা মাঠে ঈদের নামাজ আদায়ের ঘোষণা

বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
পিএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।