ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ, নষ্ট হচ্ছে ক্ষেতের সয়াবিন

নিজাম উদ্দিন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ, নষ্ট হচ্ছে ক্ষেতের  সয়াবিন

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জের পশ্চিম চর উভূতি গ্রামে প্রায় ২০ থেকে ২৫ একর জমির সয়াবিন ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে থাকা আধাপাকা সয়াবিনগুলো নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে৷ পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় এমন ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন কৃষকরা।  

কৃষক ইসমাইল হোসেন, আলী আশরাফ ও আব্বাস হোসেনসহ কয়েকজন বাংলানিউজকে বলেন, ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চর উভূতি গ্রামের চকবাজার সংলগ্ন এলাকায় বিস্তীর্ণ ফসলি ক্ষেতে সয়াবিন চাষ করা হয়।

গত দুইদিনের বৃষ্টিতে সয়াবিন ক্ষেতগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পানি জমেছে। এর আগে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন থাকলেও সেটি এ মৌসুমে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই পানি বের হতে পারছে না।  

তারা জানান, সম্প্রতি চকবাজার সংলগ্ন একটি খানকা শরীফ নির্মিত হয়েছে। ফসলি জমি এবং আশপাশের বসতবাড়ির পানিগুলো বিগত ৩০ বছর ধরে যে স্থান দিয়ে নেমে যেত, সেখানে এখন খানকা শরীফের মাঠ ভরাট করা হয়েছে। এতে কোনো ধরনের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ফলে ওই এলাকার প্রায় ২০-২৫ একর জমির সয়াবিনসহ অন্যান্য সবজি হুমকির মুখে পড়েছে।  

কৃষকরা বলেন, অতিদ্রুত ক্ষেত থেকে পানি সরিয়ে ফেলতে না পারলে সয়াবিন গাছ মরে যাবে। এতে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির মধ্যে পড়বে।  

কৃষক সফিক বাঘা বলেন, আমি ৮০ শতাংশ জমিতে সয়াবিন চাষ করেছি, কয়েকদিন পর মাঠ থেকে সয়াবিন ঘরে তোলার আশায় ছিলাম। কিন্তু এরই মধ্যে বৃষ্টির পানি জমে সয়াবিন গাছ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে আমি আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির মধ্যে পড়বো।  

যে খানকা শরীফের মাঠের কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, শনিবার বিকেলে ওই খানকা শরীফের পীর এএসএম ওয়াদুদুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল দিলে তাঁর সহকারী পরিচয়ে একজন ফোন রিসিভ করেন। তিনি স্থানীয় কৃষকদের সমস্যার বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।  

ভবানীগঞ্জের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসিন আরাফাত বাংলানিউজকে বলেন, সয়াবিন ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে থাকলে গাছ মরে যাবে। তাই ক্ষেত থেকে দ্রুত পানি বের করে দিতে হবে। এছাড়া ক্ষেতে যেন কোনোভাবে বৃষ্টির পানি আটকা না পড়ে, কৃষকদের সে ব্যবস্থাও রাখতে হবে।  

ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনি বাংলানিউজকে বলেন, খানকা শরীফের মাঠ ভরাটের কারণে বৃষ্টির পানি নামার ব্যবস্থা না থাকায় ফসলি ক্ষেতে পানি জমে গেছে। এতে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে কৃষকরা আমাকে জানিয়েছে। কৃষকদের স্বার্থে ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য যা যা করণীয় তাই করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।