ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঠাকুরগাঁওয়ে হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২২
ঠাকুরগাঁওয়ে হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈলের সাপ্তাহিক দুটি বড় হাট নেকমরদ ও রানীশংকৈলে অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা গেটের সামনে প্রতিবাদ স্বরুপ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে তারা।

পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।  

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন উপজেলা ভাইস চেযারম্যান সোহেল রানা, স্কুলশিক্ষক খায়রুল বাশার, জিল্লুর রহমান প্রমুখ। ভুক্তভোগী খায়রুল বাসার বলেন, আমি একজন স্কুলশিক্ষক। গত রোববার গরু কিনতে নেকমরদ বাজারে গেলে আমি ইজারাদার ও তাদের লোকজনের কাছে চরম অপমানিত হই। কারণ তারা সরকারের দেয়া নির্ধারিত টোলের চেয়ে বেশি টোল নিচ্ছিলো। আর এ অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদ করায় আমাকে গালাগাল শুনতে হয়েছে। আমি এর সুরাহা চাই।  

আরেক ভুক্তভুগী জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমি সরকারের অধীনে চাকরি করি। সরকারের নিয়ম কানুন মেনে চলি। কিন্তু কাতিহার বাজারে নাতির আকিকার জন্য ছাগল কিনতে গেলে আমাকে ন্যাক্কারজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। তারা সরকারের নির্ধারিত ৯০ টাকার লেখাইয়ের বদলে ২০০ টাকা আদায় করছে। আমি এর কারণ জানতে চাইলে তারা বলে ‘নিলে নেন না নিলে ছাগল রেখে চলে যান’।  

কিসমত আলী একজন দিনমজুর বলেন, একটি ছাগল বিক্রি করতে এসেছিলাম নেকমরদ হাটে। যারা বিক্রি করছে এবং যারা কিনছে দু'পক্ষের থেকেই অতিরিক্তহারে টাকা নিচ্ছে। সবকিছুকেই বেশি টোল নিচ্ছে ইজারাদার। আমার কাছে মনে হয়েছে এগুলো দিনে দুপুরে ডাকাতি করা হচ্ছে।  

এই আন্দোলনে একাত্মতা জানিয়ে রানীশংকৈল উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা বলেন, আমরা জনপ্রতিনিধিরা এর দায় এড়াতে পারিনা। জনগণ তাদের সঠিক পন্থা অবলম্বন করেও যদি হেনস্তার শিকার হন, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন তাহলে এর জবাব দিতে হবে। অভিযোগ পাওয়ার পর আমি নিজে হাট দুটি পরিদর্শন করেছি এবং আমার নিজ চোখে এ লুটপাট আমি দেখেছি। আমি বলতে চাই উপজেলা প্রশাসন শুধু জরিমানা না করে যাতে আর কখনো হাটগুলোতে অতিরিক্ত টোল না তুলতে পারে সেদিকে সোচ্চার হন। প্রতি সপ্তাহে ৭-১০ লাখ টাকা আয় করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে ইজারাদাররা অভ্যস্ত হয়ে গেছে। অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধ না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।  

এ বিষয়ে জানতে কাতিহার হাটের ইজারাদারকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। তবে নেকমরদ হাটের ইজারাদার আব্দুল কাদের অতিরিক্ত টোল নেয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গোটা জেলায় যেমন বেশি নিচ্ছে আমিও তেমন বেশি নিচ্ছি।  

রানীশংকৈল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুলকার নাইন কবির স্টীভ বাংলানিউজকে বলেন, হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ পেলেই জরিমানা করেছি। এ বছর প্রথম হাট চলেছে। এরপর থেকে অতিরিক্ত টোল নিলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

ভুক্তভোগীদের দেয়া স্মরকলিপি পেয়েছে জানিয়ে ইউএনও বলেন, কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি পাঠানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।