ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নারায়ণগঞ্জের ৫টি রুটে লঞ্চ চালুর দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২২
নারায়ণগঞ্জের ৫টি রুটে লঞ্চ চালুর দাবি

নারায়ণগঞ্জ: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রী ও শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে নারায়ণগঞ্জ থেকে ৫টি রুটে চলাচলকারী ৭০টি লঞ্চ চালুর দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালে এই অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হয়।

এসময় বিপুলসংখ্যক লঞ্চ শ্রমিকের স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে দীর্ঘদিন ধরে জনশূণ্য হয়ে থাকা ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা। অবিলম্বে লঞ্চ চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলে শ্রমিকরা কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি পালন করবেন বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
 
অবস্থান ধর্মঘটে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ শিকদার মাষ্টার। আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি মো. মঈন মাহামুদ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন চুন্নু, কবির হোসেন, আক্তার হোসেন, শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।

সবুজ শিকদার বলেন, গত ২০ মার্চ নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯ এর ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এম এল আফসার উদ্দিন ডুবে ১০ জন যাত্রী নিহত হয়। এরপর থেকে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ থেকে সব রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে করে লঞ্চ শ্রমিক ও কর্মচারীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নদীপথে দুর্ঘটনা ও মানুষের প্রাণহানি হোক সেটা আমরাও চাই না। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে যুক্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের কোনো ব্যবস্থা না করে হঠাৎ করে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে শ্রমিক ও কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পবিত্র মাহে রমজান শেষ পর্যায়ে, পবিত্র ঈদুল ফিতর আসন্ন। অথচ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে যুক্ত প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী ও তাদের পরিবার বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এসব শ্রমিক-কর্মচারীর পরিবার অনাহার অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। তারা পবিত্র এ মাসে সিয়াম পালন করতে পারছেন না। বিআইডব্লিউটিএ যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ করলেও যাত্রীরা কিন্তু ঠিকই সাধারণ ছোট ট্রলারযোগে শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী ও মেঘনা নদী দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে।

সবুজ শিকদার আরও বলেন, সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনাতেও অসংখ্য প্রাণহানি ঘটে। সেক্ষেত্রে কিন্তু সড়ক পথে যান চলাচল বন্ধ করা হয় না। আমাদের নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধের আগে কিছু সময়সীমা বেধে দেওয়া দরকার ছিল। যাতে মালিকরা তাদের লঞ্চগুলো পরিবর্তন করে নতুন লঞ্চ চালু করতে পারে। নারায়ণগঞ্জের ৭০টি লঞ্চের মতো সারাদেশে ৮ শতাধিক ছোট আকারের লঞ্চ চলছে। সেগুলো কিন্তু বন্ধ করা হয়নি।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি লঞ্চ মালিকদের একটি সময়সীমা বেঁধে দিয়ে লঞ্চগুলোর আকার বড় করে চলাচলের সুব্যবস্থা করা হোক। এতে করে শ্রমিক-কর্মচারীরাও কাজে ফিরতে পারবে এবং যাত্রীরাও স্বল্প খরচে চলাচল করতে পারবে। যদি শিগগিরই এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয় তাহলে শ্রমিক-কর্মচারীরা  কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২২
এমআরপি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।