ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বৈশাখেও ইলিশের বাজার মন্দা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
বৈশাখেও ইলিশের বাজার মন্দা

নীলফামারী: বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। এ সময়ে বাজারে আকাশচুম্বী কদর থাকে রুপালি ইলিশের।

কিন্তু এবার যেনো ক্রেতা শূন্য বাজার, যেনো কদর নেই ইলিশের। উত্তরের বাণিজ্যিক শহর নীলফামারীর সৈয়দপুরে বৈশাখের হাওয়া লাগেনি এবার ইলিশের বাজারে। পান্তা-ইলিশ ছাড়া বৈশাখ অসম্পন্ন থাকলেও এবার পবিত্র রমজান মাস থাকায় তেমন প্রভাব পড়েনি সৈয়দপুরের মাছ বাজারগুলোতে। ইলিশের বাজার মন্দা। দাম স্বাভাবিক থাকলেও ক্রেতার তেমন দেখা মিলছে না।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে এভাবে অনেকটা হতাশার সঙ্গে ব্যবসায় মন্দার কথা জানান শহীদ ডা. শামসুল হক সড়কস্থ বড় মাছ বাজারের ইলিশ বিক্রেতা হিরা শর্মা। তিনি আরও বলেন, বৈশাখে যেমন বিক্রির কথা তেমন হচ্ছে না। রমজান মাস থাকায় মানুষজন অন্য কেনাকাটায় ব্যস্ত বলে ইলিশের বাজার মন্দা বলে জানান তিনি।

বড় মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে উঠতে শুরু করেছে ইলিশ। যোগান পর্যাপ্ত থাকলেও ক্রেতার অভাব। তবে এবার বড় আকারের ইলিশ মিলছে কম। এক কেজি ও এর থেকে কিছুটা বেশি ওজনের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে বেশি। কিন্তু পবিত্র রমজান মাসে অন্য বাড়তি খরচ থাকায় ইলিশের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছেন না ক্রেতারা। বছরের এই সময়ে বৈশাখ উপলক্ষে যেখানে বাজারে ইলিশ মাছ কেনার হিড়িক পড়ে যায়, সেখানে এবার দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র। বৈশাখ উপলক্ষে বাজারে ইলিশ উঠেছে ঠিকই কিন্তু তাতে আগ্রহ নেই ক্রেতার। ফলে বিক্রি না থাকায় হতাশ ব্যবসায়ীরা।

শহরের বাঁশাবাড়ী থেকে মাছ কিনতে আসা গৃহিনী নাজমা খাতুন স্বস্তি প্রকাশ করে বাংলানিউজকে বলেন, ৮০০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মাছ নিয়েছি। দাম স্বাভাবিকই আছে। অন্য সিটি শহরের তুলনায় দাম কম। এক কেজি সাইজের এক ইলিশ হাতে তুলে বলেন এই মাছ ঢাকায় নিলে ২ হাজার টাকা গুনতে হতো।

বিক্রেতারা জানান, বৈশাখে গত বছরের তুলনায় এবারে ইলিশের দাম কিছুটা কম। তারপরেও ক্রেতা নেই। ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে বাইরে, আবার রমজান মাসে বৈশাখ হওয়ায় ক্রেতারা অনেকটা আগ্রহ কম দেখাচ্ছেন ইলিশের প্রতি।

সৈয়দপুর বড় মাছ বাজারের ইলিশ মাছ বিক্রেতা ফাইয়াজ বলেন, এবার সৈয়দপুরের বাজারে ইলিশের দাম বাড়েনি। ইলিশ মাছ সাইজ ও ওজন অনুযায়ী দাম। অন্যদিনের মতই বেচাকেনা হচ্ছে, বৈশাখে যেমন বিক্রি হওয়া দরকার তেমন হচ্ছে না।  

অপর ইলিশ ব্যবসায়ী জুম্মান বাংলানিউজকে জানান, এবার বৈশাখী বাজারে তেমন ক্রেতা নেই। দামও বেশি একটা চড়া না। বৈশাখের আগেও যেমন এখনও তেমন। অন্যদিন ৩০ কেজির মতো মাছ বিক্রি করতাম প্রতিদিনি, এখন বৈশাখেও তেমন সেই অন্য দিনের মতোই বিক্রি হচ্ছে।

বর্তমানে ছোট সাইজের ইলিশ ৭০০-৮০০ টাকা কেজি, মধ্যম সাইজের ১ হাজার টাকা কেজি এবং বড় সাইজের ইলিশ ১৬শ থেকে ১৮শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যেটি গত বছরের তুলানায় কেজিতে ৫০-৮০ টাকা কমই আছে বলছেন বিক্রেতারা।

সৈয়দপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) খগেন্দ্র নাথ রায় বাংলানিউজকে জানান, জাটকা ধরা নিষেধ থাকলেও পুরাট ইলিশ ধরতে কোনো বাধা নেই। তাছাড়া বাজারে ইলিশের পর্যাপ্ত যোগানও রয়েছে। দামও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পবিত্র রমজান মাসে মানুষজন অন্য কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকায় ইলিশের কেনাবেচা কম।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।