ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চড়ক পূজা ও মেলা শুরু বৃহস্পতিবার

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
চড়ক পূজা ও মেলা শুরু বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত চড়কপূজা 

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের ছয়চিরি দিঘির পারে ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা ও মেলা বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে।

দুই শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা ও মেলাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে বিশেষ করে সনাতন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।

করোনার কারণে গত ২ বছর ছয়চিরী দিঘির পারে চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২ দিনব্যাপী এ চড়ক পূজা ও মেলা শেষ হবে শুক্রবার (১৫ এপ্রিল)। ঐতিহ্যবাহী এই চড়ক উৎসব দেখতে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে হাজার হাজার লোকের ঢল নামবে। সুপ্রাচীন ঐতিহ্যে লালিত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার এক নম্বর রহিমপুর ইউনিয়নের ছয়চিরি দিঘির পাড়ে সনাতনী পুঞ্জিকা মতে প্রতিবছরের চৈত্র সংক্রান্তিতে ২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে চড়ক পূজা উৎসব। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। চড়ক পূজা উপলক্ষে বসবে বিরাট এক মেলা।

বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নারী-পুরুষ দর্শনার্থীর বিশাল সমাগম ঘটবে। বিকেল বেলা ভক্তরা মণ্ডলীতে বিশাল দা (বলিচ্ছেদ) দিয়ে নৃত্য, শিবের নৃত্য ও কালীর নৃত্য দেখানো হয়। নৃত্য শেষে ঐতিহাসিক ছয়চিরি দিঘীতে স্নান করে ভক্তদেরকে লোহার শিকড় শরীরের বিভিন্ন অংশে পিষ্ট (গাঁথা) করা হয়। বিশেষ করে জিহ্নবা ও গলায় গেঁথে দেওয়া হয়। নৃত্যের তালে তালে চড়ক গাছ ঘুরানো হয়।  

দেবতার পূজা-অর্চনা শেষে অপরাহ্নে মূল সন্ন্যাসী ৪ জন ভক্তের (জ্যান্ত মানুষের) পিঠে লোহার দুটি করে বিরাট আকৃতির বড়শি গেঁথে রশিতে বেঁধে ঝুলিয়ে চড়ক গাছ ঘুরানো হয়। এ সময়ে দর্শনার্থীদের অনেকে বাতাসা আর কলা ওপরের দিকে উড়িয়ে দেন আর দর্শনার্থীরা তা কুড়িয়ে নেন।

শুক্রবার ফেরা চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন দেবতার পূজা অর্চনা করা হবে। ঐতিহ্যবাহী ছয়চিরি দিঘির চার পাড়ের মধ্যে দিঘির পূর্বপাড়ে ১টি, উত্তর পাড়ে ১টি এবং দক্ষিণ পাড়ে ২টি চড়ক গাছ স্থাপন করে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তান্ত্রিক মন্ত্রের ধারা বিভিন্ন অলৌকিক ধর্মীয় কর্মসূচি উপভোগ করার জন্য অন্যান্য বছরের মতো এবারও বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে দর্শনার্থীর উপস্থিতি ঘটবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।

চড়কপূজা উদযাপনের অন্যতম আয়োজক অনিরুদ্ধপ্রসাদ রায় চৌধুরী জানান,এক নম্বর হিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় ইতোমধ্যে চড়কপূজা ও মেলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পূজা ও মেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।