ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চৌহালীতে অসময়ে নদীভাঙন, আতঙ্ক যমুনা পাড়ে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
চৌহালীতে অসময়ে নদীভাঙন, আতঙ্ক যমুনা পাড়ে

সিরাজগঞ্জ: বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই যমুনায় আকষ্মিক পানি বৃদ্ধির ফলে সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। গত দেড় সপ্তাহের উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলে বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দক্ষিণ চৌহালীর বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানুই থেকে চর সলিমাবাদ পর্যন্ত যমুনা নদীর বাম তীরে শুরু হয়েছে ভাঙন। এরই মধ্যে বেশ কিছু বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। হুমকিতে রয়েছে মিটুয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিটুয়ানি উচ্চ বিদ্যালয়, চর সলিমাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদরাসা, চর সলিমাবাদ বাজার,  ভুতের মোর  কবরস্থান, সম্ভুদিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, আজিজিয়া ফাজিল মাদরাসা, সুম্ভুদিয়া কবরস্থান ও বাজার, চৌবাড়িয়া কারিগরি কলেজ, পয়লা হাইস্কুল, পয়লা দাখিল মাদরাসা, বিনানই প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কাঁচা-পাকা সড়ক এবং আবাদি জমি।

বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানই গ্রামের কৃষক মো, ফজলুল হক, শুকুর মাহমুদ ও ছামাদ আলী, চরসলিমাবাদ গ্রামের সহিদসহ অনেকেই জানান, বর্ষা আসতে না আসতেই যমুনার তাণ্ডব শুরু হয়েছে। কিন্তু ভাঙন রোধে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

আব্দুর রহমান, ইয়াছিন মণ্ডল, রফিকুল ইসলাসহ অনেক কৃষক জানান, এ অঞ্চলের পশ্চিম দিকে যমুনার মাঝখানে বিশাল চর জেগে ওঠায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। কর্মকর্তারা দফায় দফায় পরিদর্শন আসলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।

মিটুয়ানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, গত বছর থেকেই ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে আমার এ স্কুলটি। এখানে প্রায় ৫শ’ শিক্ষার্থী রয়েছে। দ্রুত ডাম্পিং শুরু না হলে বর্ষা মৌসুম আসার আগেই বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে চলে যেতে পারে।

খাষপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে আমাদের  খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নও।

চৌহালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক সরকার বলেন, বাঘুটিয়া ও খাষপুখুরিয়া বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে যমুনার ভাঙন। ফসলি জমিসহ বেশ কয়েকটি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। দ্রুত ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করার জন্য যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি, বরাদ্দ এলেই কাজ শুরু করা হবে ইনশাআল্লাহ।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মিল্টন হোসেন বলেন, চৌহালীর ওই অংশে যমুনার ভাঙন শুরুর বিষয়টি শুনেছি। ওই অংশটি এতদিন টাঙ্গাইল নির্বাহী প্রকৌশলীর অধীনে ছিল। সম্প্রতি এটা সিরাজগঞ্জের আওতায় এসেছে। তবে এখনও অফিসিয়ালি কোনো চিঠি আমরা পাইনি।

তিনি বলেন, টাঙ্গাইলের অধীনে থাকা অবস্থায় চৌহালীর ওই অংশে সাড়ে তিন কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল। ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি একনেক মিটিংয়ে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।