ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সম্রাট বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে, জামিনের কাগজ কারাগারে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২২
সম্রাট বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে, জামিনের কাগজ কারাগারে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট -ফাইল ছবি

ঢাকা: কারাবন্দি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে আগে থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন তার চারটি মামলার মধ্যে দুটি জামিনের কাগজ পেয়েছি।

আজকে আরও একটি মামলায় তিনি জামি পেয়েছেন বলে শুনেছি। তবে জামিনের কাগজ এখনও কারাগারে এসে পৌঁছায়নি।

সোমবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কারাবন্দি সম্রাট শারীরিক অসুস্থতার জন্য অনেক আগে থেকেই চিকিৎসকদের পরামর্শে বিএসএসএমইউর ডি-ব্লকে সিসিইউতে আছে। সেখানে তিনি পুলিশের পাশাপাশি কারারক্ষীদের প্রহরায় আছেন।

এর আগে রাজধানীর রমনা থানার মাদক মামলায় জামিন পান ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। সোমবার (১১ এপ্রিল) ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার শুনানি শেষে তার জামিনের আদেশ দেন।

সম্রাটের পক্ষে জামিন শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত সম্রাটের জামিনের আদেশ দেন।

পরে সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত চারটি মামলা হয়েছে। রোববার (১০ এপ্রিল) অস্ত্র এবং অর্থপাচার মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন তিনি। আজ (সোমবার) মাদক মামলায়ও জামিন পেলেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আর একটি মামলা আছে দুদকের। ওই মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন। আশা করছি, অতি শিগগিরই জামিন নিয়ে তিনি কারামুক্ত হবেন। ’

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাকে নিয়ে ওইদিন দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্য প্রাণীর চামড়া জব্দ করা হয়।

বন্য প্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেওয়া হয়।

পরদিন ৭ অক্টোবর বিকেলে র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক মামলা করেন। ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাট এবং আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর এসআই আ. হালিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ১১ এপ্রিল, ২০২২
এজেডএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।