ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অনলাইন প্রতারণার ফাঁদে নির্মাণ শ্রমিক মামুন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২২
অনলাইন প্রতারণার ফাঁদে নির্মাণ শ্রমিক মামুন

লক্ষ্মীপুর: ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে কেনাকাটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটাকে পুঁজি করে ফেসবুক পেজ খুলে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।

 

এমনই এক প্রতারণামূলক ফেসবুক পেজ 'Mobile Bazaar52'। বাজার থেকে কম মূল্যে ব্র্যান্ড নিউ মোবাইল ফোন বিক্রির প্রলোভনমূলক বিজ্ঞাপন ছাড়া হচ্ছে এ পেজে। এতে ফাঁদে পা দিচ্ছেন অনেকেই। আর নগদ টাকা খুঁড়িয়ে প্রতারিত হচ্ছেন।  

মামুন নামে লক্ষ্মীপুরের এক নির্মাণ শ্রমিককে তাদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে পাঁচ হাজার ৮০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।  

মো. মামুন নামে ওই ব্যক্তি প্রতারণার শিকার হয়েছেন 'Mobile Bazaar52' নামক পেজে থাকা মোবাইল বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে। সোমবার (৪ এপ্রিল) সকালে তিনি এ প্রতারণার শিকার হন। মামুন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার রেহান‌ উদ্দিন ভূঁইয়া রোডে একটি নির্মাণাধীন ভবনের শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তিনি ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ছোট আলগী গ্রামের মো. শেখ ফরিদের ছেলে।

প্রতারণার শিকার মামুন বলেন, শনিবার (২ এপ্রিল) রাতে ফেসবুকে Mobile Bazaar52 নামে একটি পেজে মোবাইল বিক্রির একটা বিজ্ঞাপন দেখি। তাতে উল্লেখ ছিল- "(    /// স্টক 140 পিস ডিস্কাউন্ট অফার - চলবে 7 দিন অর্ডার_ করতে_ ও_বিস্তারিত জানতে_ কল_ করুন   01979287348 )"। আমি তাদের দেওয়া ফোন নম্বরে কল করি। তখন ফোনের অপর প্রান্ত থেকে আমাকে পছন্দের স্মার্টফোনের মডেলের স্ক্রিনশট পাঠাতে বলা হয় এবং আমাকে শর্তানুযায়ী ৫০০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়। পরদিন রোববার সকালে দোকান থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৫০০ টাকা পাঠাই।

সোমবার সকালে একটা নম্বর থেকে ফোন আসে আমার নম্বরে। নিজেকে মোবাইল ফোন ডেলিভারির লোক পরিচয় দিয়ে বলেন, 'আপনার অর্ডার দেওয়া মোবাইলটি লক্ষ্মীপুরে এসে পৌঁছেছে। আপনি যাদের কাছ থেকে মোবাইল অর্ডার দিয়েছেন, তাদের নম্বরে তিন হাজার ৩০০ টাকা পেমেন্ট করুন। তখন তারা আপনাকে একটা কোড নম্বর দেবে। ওই নম্বরটা আপনি আমাকে দেবেন, পরে আমি পরিবহন থেকে মোবাইলটি ফোনটি সংগ্রহ করে আপনার কাছে নিয়ে আসব। ' তার কথা অনুযায়ী তিন হাজার ৩০০ টাকা পরিশোধ করি।

তিনি জানান, কিন্তু তারপরও কোড না আসায় কিছুক্ষণ পর মামুন ফোন করে কোডের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন 'কোড লক হয়ে গেছে'। এসময় তাকে আরও দুই হাজার টাকা দিতে বলা হয়। পরে আরও দুই হাজার টাকা পাঠান মামুন। এরপর থেকে মামুনের ফোন নম্বর থেকে কল দেওয়া হলে, তা রিসিভ করা হচ্ছে না।

মামুন বলেন, তিন দফায় আমি তাদেরকে পাঁচ হাজার ৮০০ টাকা পাঠিয়েছি। এখন বুঝতেছি, তারা আমাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকাগুলো হাতিয়ে নিয়েছে। আমার মতো অনেকেই হয় তো চক্রটির প্রতারণার শিকার। কেউ যাতে ফেসবুকে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেখে যাচাই না করে পণ্য না কেনে বা অগ্রিম টাকা পরিশোধ না করে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২২
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।