ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেটে সংঘর্ষের ঘটনায় সহস্রাধিক আসামি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২২
সিলেটে সংঘর্ষের ঘটনায় সহস্রাধিক আসামি

সিলেট: সিলেটে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সহস্রাধিক জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) সিলেটের জৈন্তাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ৭৭ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮০০/১০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশের সাত সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া সংঘর্ষ থামাতে ৩৫৮ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ৫৮ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে যে আটজনকে আটক করা হয় তাদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের করা হয়নি।

গত রোববার (০৩ এপ্রিল) দিনগত রাত থেকে পরদিন সোমবার (০৪ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান রফিক আহমদের পক্ষে হাউদপাড়া ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমদের পক্ষের শ্যামপুর গ্রামের লোকজনের মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। সোমবার রাত ১২টায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে প্রায় ১০ ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ হয়। সকালে মধ্যস্থতা করতে ঘটনাস্থলে যান মাদরাসা শিক্ষক হাফিজ সালেহ আহমদ। ইমাম ও মুরব্বিদের একটি প্রতিনিধি দলে ছিলেন তিনি। এ সময় ফের উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় তাকে ধরে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে একটি পক্ষ। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হন। নিহত হাফিজ সালেহ আহমদ জৈন্তাপুর উপজেলার উপজেলার হেমু ভাটপাড়া গ্রামে সিফতউল্ল্যাহর ছেলে। তিনি সিলেট নগরের মেজরটিলা তাহফিজুল কোরআন মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।

আরও পড়ুন>>

>>> সিলেটে সংঘর্ষে নিহত মাওলানা সালেহ’র বাড়িতে শোকের মাতম
>>> সিলেটে সংঘর্ষস্থলে ডিসি-এসপি, আ.লীগ নেতারা
>>> সিলেটে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে মাদরাসা শিক্ষক নিহত

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২২
এনইউ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।