ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ওয়াসার পানির সঙ্গে ডায়রিয়ার সম্পৃক্ততা নেই: তাকসিম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২২
ওয়াসার পানির সঙ্গে ডায়রিয়ার সম্পৃক্ততা নেই: তাকসিম ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ঢাকা: ওয়াসার পানির সঙ্গে ডায়রিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব আবদুস সালাম হলে ‘নগরবাসীর চাহিদা-ঢাকা ওয়াসার সক্ষমতা’ শীর্ষক ‘ডুরা সংলাপে’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তাকসিম এ খান বলেন, আইসিডিডিআরবির সঙ্গে আমাদের ঘন যোগাযোগ আছে। আইসিডিডিআরবি যখনই ডায়রিয়ার প্রকোপ ১০টি এলাকার ঠিকানা আমাদের দেয়, সঙ্গে সঙ্গে আমরা ওইসব এলাকার পানি ল্যাবে টেস্ট করিয়েছি। সেই ল্যাব টেস্টে আমরা কোনো ব্যাকটেরিয়া পাইনি। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে আইসিডিডিআরবিকে জানিয়েছি।

তিনি বলেন, পানিতে যদিও কোনো জীবাণু থাকে, সেটি যাতে মরে যায় বা ধ্বংস হয়ে যায় সেজন্য ক্লোরিন দিয়ে থাকি। অনেক সময় ক্লোরিন শেষ মাথা পর্যন্ত যায় না। কিন্তু আমরা ওই বিশেষ স্থানগুলোতে ক্লোরিন বাড়িয়ে দিয়েছি। ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে আমরা যা পেয়েছি, তাতে বলা যায় এই ডায়রিয়ার সঙ্গে ওয়াসার পানির সরাসরি কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

ওয়াসার এমডি বলেন, পানি খুবই প্রয়োজনীয়। জীবনধারণের অংশ হচ্ছে পানি। পৃথিবীতে প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষ খাবার পানি থেকে বঞ্চিত। কাজেই আমরা সেই বিলিয়ন মানুষের বাইরে আছি। পৃথিবীতে যদি আবারও কোনো সংঘাত হয়, তাহলে এ সংঘাত পানি নিয়েই হবে। তেল আর গ্যাসের থেকে সবচেয়ে বেশি পানি নিয়ে সমস্যা হয়। পৃথিবীর বহু দেশের রাজধানী পানির অভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে। আমাদের এখানে অনেক বড় বড় চ্যালেঞ্জ আছে। পানিরও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ আমরা আংশিক হলেও সমাধান করতে পেরেছি। সাউথ এশিয়ায় পানির সূচকে আমরা অনেক ভালো অবস্থানে আছি।

পানির জন্য আগের মতো হাহাকার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে আমাদের চাহিদার চাইতে বেশি পানি উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছি। কাজেই ঢাকা শহরে পানির হাহাকার বা অভাব এখন নেই। আমরা সবাইকে পানি দিতে পারছি। এখন ২৪ ঘণ্টা পানি আছে। দিন শেষে আমাদের কিছু প্যাকেট লস হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে ওয়াসার এমডি বলেন, ওয়াসা যেই পরিমাণ পানি উৎপাদন করে, সেই পরিমাণ পানি গ্রাহকের কাছে যায়। আমাদের পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ সিস্টেম লস আছে, যা খুবই নগণ্য। কিন্তু রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি দেখলেই সাধারণ মানুষ মনে করেন, এটা ওয়াসার লাইন।

পানি ফুটিয়ে পান করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ খান বলেন, ওয়াসার পানি নিরাপদে ট্যাংকি পর্যন্ত দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। বাসার লাইন পর্যন্ত নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের না। সেজন্য আমরা বলব আপনারা পানি ফুটিয় খান। এছাড়া পানিতে কোনো সমস্যা হলে- আমরা তিনি স্থান থেকে পানি নিয়ে পরীক্ষা করি। একটা হচ্ছে আমাদের পাম্প, দ্বিতীয় হচ্ছে সমস্যা হওয়া ওই এলাকার লাইন, আর তৃতীয় হচ্ছে বাসার লাইন।

পানির দাম বাড়ানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পানির দাম বাড়ানোর বিষয়ে সবকিছু আমরা জানিয়েছি, এখন সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুরা সভাপতি ও দৈনিক ভোরের কাগজের সিনিয়র রিপোর্টার মো. রুহুল আমিন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক। এছাড়াও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন সভায়।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২২
এমএমআই/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।