ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী বিচারপতি মাহবুব মোর্শেদ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২২
অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী বিচারপতি মাহবুব মোর্শেদ

ঢাকা: সাবেক তথ্য সচিব ও বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের জ্যেষ্ঠপুত্র সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেছেন, ‘বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ অনন্য ও অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও আগরতলা ষড়যন্ত্র ঐতিহাসিক মামলার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ইতিহাসের পাতায় অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

তার মৃত্যুর ৪৩ বছর পরও মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তার অনন্য ঐতিহাসিক রায়গুলো রেফারেন্স হয়েই আছে। কালজয়ী মানুষটিকে নিয়ে যত গবেষণা করা হবে ততই আগামী প্রজন্ম আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এক উজ্জ্বল ইতিহাসে ধারাপাত পড়তে পারবে। ’

সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে রোববার (৩ এপ্রিল) সকাল ১০টায় উপমহাদেশের বিশিষ্ট আইনবিদ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোরশেদের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া ও কোরআনখানি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ স্মৃতি সংসদের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, সৈয়দ মামনুল মোর্শেদ এবং প্রফেসর সৈয়দ মানসুব মোর্শেদসহ অন্যান্য নেতারা।

এছাড়া পৃথকভাবে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের পক্ষ থেকে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা ও মহাসচিব আর কে রিপনের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।  

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আবদুর রহমান তপন, আন্তর্জাতিক প্রবাসী মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এইচ এম মনিরুজ্জামান, স্মৃতি সংসদের মঞ্জুরুল হক বাদল, রফিকুল ইসলাম, সুজন আহমেদসহ অন্যান্য নেতারা।

শ্রদ্ধা শেষে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ ১৯১১ সালের ১১ জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ আবদুস সালেক ছাত্রজীবনে মেধার পরিচয় দিয়ে পরে বঙ্গীয় সিভিল সার্ভিসের সদস্যপদ লাভ করেছিলেন। শেরে-বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন বিচারপতি মোর্শেদের মামা। বগুড়া জিলা স্কুল থেকে ১৯২৬ সালের মেট্রিক পরীক্ষায় তিনি রাজশাহী বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেন। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতি বিষয়ে তিনি অনার্সসহ বিএ পাস করেন ১৯৩০ সালে। সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ এমএ পাস করেন ১৯৩২ সালে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে আইন পাস করেন ১৯৩৩ সালে। ১৯৩৯ সালে ইংল্যান্ডের লিনকন্স ইন থেকে ব্যারিস্টারী ডিগ্রি লাভ করেন। দেশে ফিরে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ কলকাতা হাইকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন। তিনি ঢাকা হাইকোর্টে যোগ দেন ১৯৫৫ সালে। ওই বছরই তিনি ঢাকা হাইকোর্টের বিচারক নিযুক্ত হন। ১৯৬২-৬৩ সালে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের বিচারক এবং ১৯৬৪ সালে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ লাভ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২২
এমএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।