মানিকগঞ্জ: পদ্মা ও যমুনা নদীর তীরবর্তী ও মাঝ নদীতে ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। এতে নদীর গভীরতা কমে আসায় নৌ-চ্যানেল অনেকটাই সরু হয়ে এসেছে।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজিরহাট এই দুই নৌ-পথে পদ্মা ও যমুনা নদীর বুকে ছোট ছোট বালুচর জেগে উঠেছে আবার কিছু কিছু স্থানে ডুবোচরের কারণে ফেরিগুলো আটকে পড়ছে। নদীর গভীরতা না ফিরিয়ে আনলে নৌ-যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে বলেও মন্তব্য করেন ফেরির মাস্টারসহ সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা অফিস সূত্রে জানান যায়, পদ্মা ও যমুনা নদীর পানির গভীরতা কমে আসায় পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌ-পথ ও আরিচা-কাজিরহাট নৌ-পথের কিছু কিছু চ্যানেলে ডুবোচর দেখা দিয়েছে। প্রতিটি চ্যানেল সরু হয়ে আসায় ফেরি চলাচলে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ফেরির মাস্টারদের।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা অফিস সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার অন্যতম প্রবেশ পথ পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া নৌ-পথের দূরত্ব ৪ কিলোমিটার আর আরিচা থেকে কাজিরহাট নৌ-পথের দূরত্ব প্রায় ১৪ কি.মি.। দু'টি নৌ-পথ দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন ও মানুষ পারাপার হয়। শুষ্ক মৌসুমে এই দু'টি রুটে পদ্মা ও যমুনার পানি কমে গভীরতা হারায় আর এই সময়ে আট ফুট ড্রাফটের ওপর পণ্যবোঝাই কোনো জাহাজ চলাচল করতে পারে না।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে চলাচলরত রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামের ফেরির মাস্টার রাসেল মাহমুদ বলেন, নদীর তীরে ড্রেজিং করা হচ্ছে কিন্তু মাঝ নদীতে ডুবোচর রয়েই গেছে।
নাম প্রকাশ না করার মর্মে অন্য এক ফেরি চালক বলেন, নদীর পানি এই সময় শুকিয়ে যায় এটা কিন্তু নতুন কোনো কিছু না। ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ার পর কেন ড্রেজিং করতে হবে? এটা কি বিআইডব্লিউটিএ আগে দেখে না? ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ার কারণে একে তো ট্রিপের সংখ্যা কমে গেছে আবার ঘাট এলাকায় দীর্ঘ সময় যানবাহনগুলোকে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা অফিসের ড্রেজিং বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আক্কাছ আলী বলেন, পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌ-পথের চ্যানেল পুরপুরি সচল করতে ড্রেজিং চলছে। এছাড়া আরিচা কাজিরহাট নৌ-রুটের চ্যানেলেও খননের কাজ চলছে। আমরা ধারণা করছি চলতি মাসের মাঝামাঝির আগেই দু'টি নৌ-পথের চ্যানেলে নাব্যতা ফিরে পাবে।
আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, নাব্যতা সংকট আর মাঝ নদীতে ডুবোচরের কারণে বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং করছে। আমরা মনে করছি হয়তো আর কিছু দিনের মধ্যে দুটি নৌ-পথের চ্যানেলগুলো পুরোপুরি সচল হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২২
কেএআর