ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনার ১২৫ গ্রামের মানুষ পাবে দারিদ্র বিমোচনের সুবিধা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২২
খুলনার ১২৫ গ্রামের মানুষ পাবে দারিদ্র বিমোচনের সুবিধা

খুলনা: খুলনার ১২৫ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পাবে রেজিলিয়েন্স এন্টেপ্রেনিউরশিপ অ্যান্ড লাইভ্লিহুড ইম্প্রুভমেন্ট (আরইএলআই) প্রজেক্টের দারিদ্র বিমোচনের সুবিধা। জেলার পাইকগাছার গদাইপুর, রাড়ুলী, লষ্কর, কপিলমুনি, হরিঢালী ও লতা ইউনিয়ন।

ডুমুরিয়া সদর, রঘুনাথপুর ও রংপুর ইউনিয়ন। ফুলতলা সদর, জামিরা ও দামোদর ইউনিয়নের ১২৫টি গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠী পাবে এ সুবিধা।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) আরইএলআই প্রজেক্টের অবহিতকরণ কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিনিয়র সচিব (অব.) ও এসডিএফের চেয়ারপারসন বোর্ড অব ডিরেক্টরস মো. আবদুস সামাদ।

এসডিএফের খুলনা জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান তালুকদার।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এসডিএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ জেড এম শাখাওয়াত হোসেন।  

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন এসডিএফ’র যশোরের আঞ্চলিক পরিচালক মো. হেদায়েত উল্লাহ।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন এসডিএফের খুলনা জেলা ব্যবস্থাপক মো. মাহমুদ হাসান।

কর্মশালায় এসডিএফ’র কার্যক্রম বিষয়ক উপস্থাপনা করেন আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (আইসিবি) জাকির হোসেন।

এছাড়া কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তারা, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিরা, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

কর্মশালায় জানানো হয়, সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি অলাভজনক ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০০১ সালে সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি গ্রামীণ দরিদ্র ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এসডিএফ দারিদ্র বিমোচন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়ানো ও কর্মসংস্থান সৃজন, আর্থিক সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে অতিদরিদ্র ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চতকরণ, গ্রামীণ ক্ষুদ্র অবকাঠামো নির্মাণ ও মেরামত, দেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে জেলে পরিবারের জীবন-মান উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক সহায়তা দেওয়া, কোভিড-১৯ মহামারির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া এবং সর্বোপরি নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ৩৫টি জেলার ১৫৯টি উপজেলার পিছিয়ে পড়া ৯ হাজার ৩১৪টি গ্রামে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর অংশহিসাবে খুলনা জেলার ৩টি উপজেলায় (পাইকগাছা, ডুমুরিয়া এবং ফুলতলা) ৫টি ক্লাস্টারে মোট ১২৫টি গ্রামে রেজিলিয়েন্স এন্টেপ্রেনিউরশিপ অ্যান্ড লাইভ্লিহুড ইম্প্রুভমেন্ট (আরইএলআই) প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হবে।
 
প্রকল্প চেয়ারপারসন আব্দুস সামাদ বলেন, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারকে সহোযোগিতা করা এবং সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবিকায়ন ও জীবনমান উন্নয়ন, দক্ষতা বাড়ানো, নারীর ক্ষমতায়ন ও টেকসই গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে তাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন সাধন এসডিএফের মূল উদ্দেশ্য। এসডিএফ শুরু থেকেই সামাজিক বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

উদাহরণ হিসেবে আব্দুস সামাদ বলেন, জামালপুরের এক নারী প্রকল্পের সহযোগিতায় গরু লালন পালন শুরু করেন। এখন তার অনেক গরু রয়েছে। স্বাবলম্বী হয়েছেন। স্বামীকে দোকান করে দিয়েছেন। ছেলেকে নটরডেম কলেজে পড়াচ্ছেন। অথচ তিন বেলা খাবার জুটতো না ওই পরিবারের। এখন সবাই ওই নারীর কাছে বুদ্ধি পরামর্শ নিতে আসছেন তিনি কীভাবে সফলতা পেলেন।

তিনি বলেন, এসডিএফ এ দেশের দারিদ্র বিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়ন তথা গ্রামাঞ্চলে সার্বিক উন্নয়নে বিগত ২০ বছর ধরে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এসডিএফের সব ধরনের কর্মকাণ্ডে সুশাসন অর্থাৎ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। আমরা আশা করি, সরকারের সহযোগী হিসেবে এই দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত আয়ের দেশে উন্নীত করা সম্ভব।

অতিথিদের বক্তব্যের পর উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের মতামত উপস্থাপন করেন এবং এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২২
এমআরএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।