ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘জ্বালানি খাতের উন্নয়নে পরিবেশের দিকেই নজর দিতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৬ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১০

ঢাকা: জ্বালানি খাতের উন্নয়নে পরিবেশের দিকেই সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে। কারণ এ খাতের সঙ্গে কার্বণ নিঃসরণও সম্পৃক্ত।

পরিবেশ দূষণের জন্য প্রত্যক্ষভাবে এটি দায়ী। তাই পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি খাতের টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।

শুক্রবার সকালে রাজধানীতে জ্বালানিবিষয়ক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আইনুন নিশাত।

‘জ্বালানি খাত উন্নয়নে সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স স্টাডিজ (আইজিএস) ও স্কুল অফ ল’ (এসওএল)।

দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রায় অর্ধশতাধিক ছাত্র, শিক্ষক, আইনজীবী ও গবেষক এতে অংশ নেন।

আইনুন নিশাত বলেন, “আমরা জ্বালানি খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এ প্রকল্পটি শুরু করেছি। এই খাতের প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রধান কারণ হল ধনী দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণ। অনেক দেরিতে হলেও বিষয়টি বিশ্বের অন্যতম সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ”

নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে গবেষণায় মার্কিন সরকার এরই মধ্যে ৮০ বিলিয়ন ইউএস ডলারের প্রকল্প ঘোষণা করেছে বলেও জানান তিনি।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সিএফএল বাল্ব বিনামূল্যে বিতরণের বিষয়টিকে একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে উল্লেখ করে আইনুন নিশাত বলেন,  “এর বিপরীতে কার্বণ ট্রেডিংয়ের আওতায় কম কার্বণ নিঃসরণের জন্য সরকার টাকা পাবে। যা একটি ভালো লক্ষণ। ”

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স স্টাডিজ (আইজিএস)-এর পরিচালক ব্যারিস্টার মানজুর হাসান, স্কুল অফ ল’ (এসওএল)-এর অধ্যাপক কে সামসুদ্দিন মাহমুদ ও জ্বালানি খাত উন্নয়নে সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের সমন্বয়কারী ড. তুরিন আফরোজ।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১০
এইচএ/এজে/কেএল

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।