ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গৃহবধূকে মরিচের গুঁড়া দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২২
গৃহবধূকে মরিচের গুঁড়া দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে নুপুর আক্তার (২৭) নামে এক গৃহবধূর চোখে-মুখে মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপ করে মারধর ও নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী সুজন ও শাশুড়ি শুকরি বেগমের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার রাজীবপুর গ্রামের বশির উল্লাহর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

রাতেই স্থানীয়রা ৯৯৯ কল দিলে নির্যাতিত গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ী থেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায় সদর থানা পুলিশ।  

ঘটনার পর থেকে নির্যাতনকারী স্বামী ও শাশুড়ি পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।  

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ৭ বছর আগে সদর উপজেলার রাজীবপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে অটোরিকশা চালক মো. সুজনের সঙ্গে একই উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আবিরনগর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছোট মেয়ে নুপুর আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কারণে-অকারণে গৃহবধূকে মারধর করে তার স্বামী ও শাশুড়ি। এরই মধ্যে তাদের সংসারে দুটি পুত্র সন্তান আসে।  

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত ৮টা দিকে নুপুরের সঙ্গে তার শাশুড়ি শুকুরি বেগমের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাশুড়ি পুত্রবধূ নুপুরের চোখে-মুখে ও মাথায় মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপ করে এবং মারধর করে। কিছুক্ষণ পর সুজন বাড়িতে এলে গৃহবধূ তাকে বিষয়টি জানান। সুজন তার স্ত্রীর কথা না শুনে উল্টো রাগান্বিত হয়ে নুপুরকে মারধর করে। খবর পেয়ে গৃহবধূর ভাই জহির ও ইসমাইল তাদের বোনকে উদ্ধার করতে ছুটে যায়।  

এর আগে স্থানীয়রা ৯৯৯ কল দিলে সদর থানা পুলিশ গিয়ে গৃহবধূকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়। রাতেই তাকে হাসাপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। নুপুর তার দুই সন্তানসহ বাবার বাড়িতে আছে।  

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি আমরা অবগত আছি। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।