ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রক্তাক্ত যুবককে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাখরচ দিলেন এসআই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২২
রক্তাক্ত যুবককে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাখরচ দিলেন এসআই

সাভার (ঢাকা): সাভারে গভীর রাতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিলেন মো. সাখাওয়াত (১৯) নামে এক পোশাক শ্রমিক। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তিসহ যাবতীয় খরচ বহন করেছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।

রোববার (২০ মার্চ) সকালে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

এর আগে, শনিবার (১৯ মার্চ) দিবাগত ১টার দিকে সাভারের পুলিশ টাউন এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশ থেকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

আহত মো. সাখাওয়াত রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি সাভারের পশ্চিম ব্যাংক টাউন এলাকায় থেকে আল-মুসলিম নাম এক পোশাক কারখানায় ওয়াশিংয়ের হেলপার হিসেবে চাকরি করেন।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে এক রিকশাচালক ফোন দিয়ে জানান এক ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে আছেন। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। গিয়ে সাখাওয়াতকে গুরুতর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে উদ্ধার করে প্রথমে সাভারের এনাম মেডিক্যাল, পরে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে ভোরেই সাখাওয়াতকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। শুধু তাই নয়, সাখাওয়াতের অ্যাম্বুলেন্স ভাড়াসহ চিকিৎসার যাবতীয় খরচও বহন করছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ৯৯৯ থেকে এক রিকশাচালক ফোন দেয়। সেই খবরে আমি সেখানে গিয়ে দেখি এই অবস্থা। আশেপাশের মানুষের কাছে জানতে পারি শনিবার দিনগত রাত ১টার দিকে গাজীপুর থেকে বাসায় ফিরছিলেন সাখাওয়াত। পরে সাভার পুলিশ টাউন এলাকায় ব্রিজের পাশে বাস থেকে নামিয়ে দিলে হেঁটে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীরা পথ রোধ করে তার কাছে থাকা মোবাইল-টাকা চায়। তিনি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।

তিনি বলেন, সেখান থেকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে এনাম মেডিক্যাল, পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে ঢামেকে আমি নিজে অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, পরে তাদের একজন হাসপাতালে এসেছে। হাসপাতালে ভর্তির পর দেখা যায় তার গলা, পেট, পিঠ, হাত ও পায়ে প্রায় ২০টির মত আঘাত করা হয়েছে। ক্ষত স্থানগুলো গভীর। তার সঙ্গে কয়েকবার কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে কথা বলতে পারছিল না।

আইনি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ভুক্তভোগী সাখাওয়াত অথবা তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ২০ মার্চ, ২০২২
এসএফ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।