ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মৈত্রী দিবসের লোগো-ব্যাকড্রপ নকশা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২২
মৈত্রী দিবসের লোগো-ব্যাকড্রপ নকশা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস উদযাপনের জন্য আয়োজিত লোগো ও ব্যাকড্রপ নকশা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হলো।

বুধবার (১৬ মার্চ) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের যৌথ আয়োজনে লোগো ও ব্যাকড্রপ নকশা প্রতিযোগিতার বিজয়ী আটজন বাংলাদেশি প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বিজয়ীদের হাতে সম্মানী ও সার্টিফিকেট তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও প্রথিতযশা শিল্পী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।

পররাষ্ট্র সচিব তার বক্তব্যে মৈত্রী দিবস উদযাপনকে দুই দেশের সম্পর্কে একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি উৎসাহী তরুণ প্রজন্মকে তাদের সৃজনশীল চিন্তার জন্য ধন্যবাদ জানান।

ভারতীয় হাই কমিশনার তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, মৈত্রী দিবস উদযাপন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান নিবিড় সম্পর্কের পরিচায়ক।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৬-২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফর করেন।

সফরকালে ভারত কর্তৃক বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দিন হিসেবে ঐতিহাসিক ৬ ডিসেম্বরকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী দিনটিকে মৈত্রী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এ ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর বিশ্বের ১৮টি দেশসহ বাংলাদেশ ও ভারতে যৌথভাবে মৈত্রী দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে অনুযায়ী মৈত্রী দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

মৈত্রী দিবস উদযাপনের জন্য দুই বন্ধুপ্রতিম দেশ লোগো ও ব্যাকড্রপ নকশার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উক্ত প্রতিযোগিতা বিভিন্ন স্তরে যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে ধাপে ধাপে সম্পন্ন হয়। নকশার নান্দনিকতা, শিল্পমান, মৈত্রী দিবসের ধারণার সঙ্গে একাত্মতা, নিজেদের নকশা সম্পর্কে প্রতিযোগী শিল্পীদের ব্যাখ্যা বিবেচনায় নিরপেক্ষতা ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নির্দেশিকার ভিত্তিতে, সর্বোপরি দুই দেশের স্ব-স্ব আর্থিক নিয়মাবলী অনুসরণ করে সর্বসম্মতিক্রমে যৌথ নির্বাচক কমিটির মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়।

লোগো ও ব্যাকড্রপ প্রত্যেক ক্যাটাগরির নকশার জন্য বিজয়ী প্রতিযোগীদের জন্য পৃথকভাবে আটটি করে মোট ১৬টি আকর্ষণীয় সম্মানী পুরস্কার রয়েছে।

এ প্রতিযোগিতায় আটজন বাংলাদেশি প্রতিযোগী মোট নয়টি পুরস্কার এবং সাতজন ভারতীয় প্রতিযোগী সাতটি পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন।

ভারতের নয়া দিল্লির বাংলাদেশ হাই কমিশন ও ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে শিগগিরই ভারতীয় প্রতিযোগীদের পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হবে।

লোগো ও ব্যাকড্রপ প্রত্যেক ক্যাটাগরির নকশার জন্য বিজয়ী প্রতিযোগীদের জন্য পৃথকভাবে আটটি করে মোট ১৬টি আকর্ষণীয় সম্মানী পুরস্কার দেওয়া হয়। এতে প্রথম পুরস্কার ছিল এক হাজার মার্কিন ডলার, দ্বিতীয় পুরস্কার ৭০০ ডলার এবং তৃতীয় পুরস্কার ৫০০ ডলার। এতে ছিল পাঁচটি সান্ত্বনা পুরস্কার, যার মূল্যমান ২০০ ডলার।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২২
টিআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।