ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঘুষ না পেয়ে তহশিলদারের মনগড়া প্রতিবেদন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২২
ঘুষ না পেয়ে তহশিলদারের মনগড়া প্রতিবেদন

লক্ষ্মীপুর: চাহিদা মতো ঘুষ না দেওয়ায় ভূমি কেন্দ্রীক আদালতে মনগড়া প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ উঠেছে মো. ইসমাইল হোসেন নামে এক তহসিলদারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালালবাজার ইউনিয়নের ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) হিসেবে কর্মরত আছেন।

 

তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের কামানখোলা এলাকার প্রবাসী ইসমাইল হোসেনে স্ত্রী লাকি বেগম। তার অভিযোগ, ভূমি কেন্দ্রীক একটি মামলার বিষয়ে তহসিলদার ইসমাইল তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করার পর বাকি ৩০ হাজার না পেয়ে তহসিলদার তার জমি নিয়ে মনগড়া প্রতিবেদন দিয়েছেন।  

এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে তিনি বুধবার (২ মার্চ) সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দিয়েছেন ইউএনও।

অভিযোগে বলা হয়, প্রায় ৪০ বছর আগে পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামে লাকির স্বামী ইসমাইল ও শ্বশুর সাড়ে ৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। সেখানে একটি টিনের ঘর করে তারা বসবাস করে আসছেন। পুরনো ঘরটি জারাজীর্ণ হয়ে পড়ায় তারা পাকা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এতে লাকির চাচা শ্বশুর সৈয়দ আহমদ জমির মালিকানা দাবি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত ইউনিয়ন তহশিলদারকে দায়িত্ব দেন। তহশিলদার ইসমাইল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাকির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। নিরুপায় হয়ে লাকি তাকে ২০ হাজার টাকা দেয়। বাকি টাকা না দেওয়ায় সৈয়দ আহম্মদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি আদালতে মনগড়া প্রতিবেদন করা হয়। ক্রয়কৃত মালিক ও দখলে থাকা সত্ত্বেও তহশিলদার ঘুষের জন্য লাকিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তৈরি করে।

লাকি বেগম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের পক্ষে দেওয়ার কথা বলে তহশিলদার ইসমাইল ৫০ হাজার টাকা ঘুষ চায়। পরে নিরুপায় হয়ে ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। দাবিকৃত পুরো টাকা না পেয়ে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন জমা দেন।

ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমার ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ দেখতেছে।  

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত রায় বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগটি এখনো আমি হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩২ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।