ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যুদ্ধের ডামাডোলে কেন ইউক্রেনে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’? 

নিউজ ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২২
যুদ্ধের ডামাডোলে কেন ইউক্রেনে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’? 

ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সৈন্য মোতায়েনের পর চলতি বছরের শুরু থেকেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে বিশ্বের অনেক দেশ ইউক্রেন থেকে তাদের নাগরিক ও দূতাবাস সরিয়ে নিতে থাকে।

এর মধ্যে চলতে থাকে কূটনৈতিক আলোচনা। কিন্তু ফলোপ্রসূ সমাধান না আসায় ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু হয়। সেই যুদ্ধ বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) অষ্টম দিনে গড়িয়েছে।  

ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে এমন যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ এমভি ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ কেন ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছিল, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  

বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএসসির নির্বাহী পরিচালক ড. পীযূষ দত্তকে একই প্রশ্ন করেন গণমাধ্যমকর্মীরা।  

পীযূষ দত্ত বলেন, জাহাজটি না পাঠানোর সুযোগ ছিল না। চার্টারার যদি যেতে চায় আইনগতভাবে না পাঠানোর সুযোগ নেই। ক্যাপ্টেনের পারফরম্যান্সে আমরা সন্তুষ্ট। তারা জীবনবাজি রেখে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন ক্ষয়ক্ষতি কমানোর।

ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে বাংলাদেশি সেই জাহাজে রকেট হামলায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ জাহাজেই ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছে। জাহাজটিতে নাবিক ও ইঞ্জিনিয়ারসহ এখনো ২৮ জন অবস্থান করছেন। ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র নাবিকদের উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে।

বিএসসির নির্বাহী পরিচালক বলেন, আন্তর্জাতিক মেরিটাইম আইন খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সরকার নাবিকদের উদ্ধারে তৎপর রয়েছে।  

ড. পীযূষ বলেন, ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে রকেট হামলায় থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা গেছেন। জাহাজের বাকি ২৮ জন নাবিক-ক্রু অক্ষত আছে। তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার আগে বন্দরের তীর থেকে কাউকে সেফটি ও সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে হবে। এটা ইউক্রেন সরকার, আমাদের সরকার, দূতাবাস কিংবা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকেও হতে পারে। যেকোনো এক জায়গা থেকে পেলেও আমরা সেক্ষেত্রে জাহাজের নাবিক-ক্রুদের অনুমতি দেব।

এর আগে বুধবার (২ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায়) বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে রকেট হামলা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই জাহাজের নাবিক সালমান সামি। হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান মারা যান।  

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছায়। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হয়ে যাওয়ায় ২৯ নাবিকসহ সেখানেই আটকা পড়ে জাহাজটি। ইউক্রেন থেকে সিরামিকের কাঁচামাল নিয়ে তাদের ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২২
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।