ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সরকারকে ১৯০০ সালের আইন বলবৎ রাখার পক্ষে থাকার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২২
সরকারকে ১৯০০ সালের আইন বলবৎ রাখার পক্ষে থাকার আহ্বান স্মারকলিপি জমা দিচ্ছেন খাগড়াছড়ির হেডম্যান ও কার্বারীরা।

খাগড়াছড়ি: ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০’ আইন বলবৎ রাখা ও এর সপক্ষে সরকারের অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলার অর্ধশতাধিক হেডম্যান ও কার্বারী।

বুধবার (২ মার্চ) দুপুরে তারা জেলা প্রশাসক প্রকাপ চন্দ্র বিশ্বাসের মাধ্যমে স্মারকলিপি দেন।



উল্লেখ্য; পার্বত্য চট্টগ্রাম বসবাসরত জাতিগোষ্ঠীগুলোর ঐতিহ্য অনুয়ায়ী ও ১৯০০ সালের আইনানুযায়ী হেডম্যানরা হলেন মৌজার প্রধান, কার্বারীরা হলেন গ্রামের প্রধান।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০০৩ সালে চারদলীয় জোট সরকারের সময় হাইকোটে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ সালের আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করা হয়। কিন্তু তৎকালীন সরকার পক্ষে অ্যাটনীজেনারেল কার্যালয় থেকে বিদ্বেষপ্রসুত, ত্রুটিপূর্ণ, পক্ষপাটদুষ্ট ও বৈষম্যমূলক অবস্থানের কারণে হাইকোর্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন-১৯০০ আইনকে ‘মৃত আইন’ বলে রায় দেয়।  

এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ২০১৭ সালে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে দেন এবং ১৯০০ সালের আইনকে বৈধ ও কার্যকর আইন মর্মে ঘোষণা করেন।

এই রায়ের পরও ২০১৭ ও ২০২১ সালে আপিল বিভাগে দুইটি রিভিউ পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলাগুলো এখন আপিল বিভাগে বিচারের প্রক্রিয়াধীন। এই অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর ঐতিহ্যবাহী নেতৃত্ব হেডম্যান ও কার্বারীরা বর্তমান সরকারের কাছে ১৯০০ সালের আইনের সপক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি (শান্তি চুক্তি নামে পরিচিত) অনুযায়ী পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন সংশোধন ও প্রণয়ন করা হয়েছিল। পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্রজাতিগোষ্ঠীগুলোর প্রচলিত আইন, প্রথা, রীতি, পদ্ধতি ও রেওয়াজসমূহ অব্যাহত ও কার্যকর রাখতে ১৯০০ সালের আইন পূর্ণাঙ্গভাবে বলবৎ রাখা খুবই জরুরি।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে জেলা হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাথোয়াই চৌধুরী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্য সংরক্ষণে ১৯০০ সালে প্রণীত আইন অবশ্যই প্রয়োজন।

স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি হিরণ জয় ত্রিপুরা, সাধারণ সম্পাদক স্বদেশপ্রীতি চাকমা, নারী হেডম্যান ও কার্বারী নেটওয়ার্কের সভাপতি জয় ত্রিপুরা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২২
এডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।