ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বশেমুরবিপ্রবির ছাত্রীকে ধর্ষণ: অভিযুক্ত ৬ আসামি কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
বশেমুরবিপ্রবির ছাত্রীকে ধর্ষণ: অভিযুক্ত ৬ আসামি কারাগারে

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ৬ আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া সুলতানা লিপি ও মো. শরিফুর রহমানের আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, আসামিদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা এ ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা আদালতে স্বীকার করেছে। এরআগে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে র‌্যাব গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই ৬ আসামিকে গ্রেফতার করে।
 
জবানবন্দি দেওয়া আসামিরা হলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চরমানিকদাহ গ্রামের শাফায়েত মিয়ার ছেলে রাকিব মিয়া ওরফে ইমন (২২), শহরের মার্কাস মহল্লার বাবুল ফকিরের ছেলে পিয়াস ফকির (২৬), পরেশ বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (২৪), চান মিয়া সরদারের ছেলে মো. হেলাল সরদার (২৪), নবীনবাগের অহিদুজ্জামানের ছেলে মো. নাহিদ রায়হান (২৪) ও বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার মৌপুরা গ্রামের বিকাশ মোহন্তের ছেলে তূর্য মোহন্ত (২৬)। গতকাল শনিবার রাতে র‌্যাব ওই ৬ আসামিকে গোপালগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে গোপালগঞ্জের হেলিপ্যাড থেকে বের হওয়ার সময় ভিকটিমের বন্ধুকে ওই বখাটেরা মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পাশের নির্মাণাধীন জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বারান্দায় নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সারা রাত তারা থানা ঘেরাও করে ধর্ষকদের গ্রেফতারের দাবি জানায়। কিন্তু, পুলিশ ধর্ষকদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হলে শিক্ষার্থীরা ঢাকা খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়ায় অবরোধ করে। প্রায় ১২ ঘণ্টা মহাসড়কে অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এতে হাজার হাজার নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, শিশু চরম ভোগান্তিতে পড়ে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টা মধ্যে আসামিদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী। কিন্তু তারপরও শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে না নেওয়ায় বহিরাগতরা তাদের ওপর হামলা করে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এতে শিক্ষকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।  

এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।