ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

রাস্তায় ওঁৎ পেতে দিনে-দুপুরেই সব ছিনিয়ে নিত তারা!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
রাস্তায় ওঁৎ পেতে দিনে-দুপুরেই সব ছিনিয়ে নিত তারা! আটক চার ছিনতাইকারী

রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত চার ছিনতাইকারীকে আটক করেছে রাজপাড়া থানার পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুর্বৃত্তরা জানিয়েছে- শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ওঁৎ পেতে থাকে তারা। সুযোগ বুঝে দিন-দুপুরেই অস্ত্রের মুখে লোকজনকে জিম্মি করে ছিনতাই করে।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

আটক ছিনতাকারীরা হলেন- রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার দাশপুকুর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে মমিনুল ইসলাম হৃদয় (২৪), বহরমপুর এলাকার নেকবরের ছেলে আরিফ (২৩), তেরখাদিয়া ডাবতলা গ্রামের কাবিলের ছেলে কোরাইশিন কেরোশিন (২২) ও নতুন বিলসিমলা এলাকার সিদ্দিকের ছেলে সেলিম ওরফে মাইকেল (৩০)।

গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, শরীফুল ইসলাম (৪৯) নামের এক ব্যক্তির বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে গত ৩০ জানুয়ারি অটোরিকশায় করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) থেকে লক্ষ্মীপুরের বাসায় ফিরছিলেন। তিনি রাজপাড়া থানার টিবি পুকুর বাইপাসে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে তিন ব্যক্তি এসে তার পথরোধ করেন। তাদের মধ্যে একজন ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই রাবি ছাত্রীর কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ডসহ তার ভ্যানেটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা  পালানোর সময় ওই রাবি ছাত্রী দেখেন, তাদের মোটরসাইকেলের পেছনে রাজ মেট্রো-ল ১১-৬৩১০ লেখা আছে। তার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়।

ওই মামলার সূত্র ধরে রাজপাড়া থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম আসামিদের নাম ঠিকানা শনাক্ত করে আটকের জন্য মাঠে নামেন। পরে ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহকারি পুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার চৌধুরী ও তার দলের দেওয়া তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে রাজপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়।

এক পর্যায়ে বুলনপুর হাইটেক পার্কের সামনে থেকে মমিনুল ইসলাম হৃদয় ও আরিফকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা মোবাইল ফোন, জাতীয় পরিচয়পত্র, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ডসহ আরও ৩টি বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল  ফোন উদ্ধার করা হয় এবং আসামিদের ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়।

পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার অভিযান চালিয়ে তেরখাদিয়া ডাবতলা এলাকা থেকে আরেক ছিনতাইকারী কোরাইশিনকে দুটি মোবাইল ফোন ও একটি চাকুসহ আটক করা হয়। এরপর সেলিম ওরফে মাইকেলকে নতুন বিলসিমলা এলাকা থেকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের  বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
এসএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।