ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ইভ্যালির টাকা পাচার হয়েছে, সন্দেহ নতুন বোর্ডের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
ইভ্যালির টাকা পাচার হয়েছে, সন্দেহ নতুন বোর্ডের ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: লকার ভাঙা শেষে ইভ্যালির অর্থ পাচার হয়েছে মর্মে সন্দেহ পোষণ করেছেন বোর্ড চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে ধানমন্ডি ইভ্যালির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সন্দেহ পোষণের কথা জানান।

তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর তথ্য ও কাগজপত্রে এ ব্যাংকগুলোতে যতো অর্থ থাকার কথা জেনেছি, তা যথেষ্ট সন্দেহ করার মতো। ইভ্যালির টাকা পাচার হয়েছে বা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছি।

অর্থ পাচারের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য বা ক্লু পেয়ে এই সন্দেহ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মোটামুটি আন্দাজ পেয়েছি। কারণ তথ্য উপাত্ত ও কাগজপত্রে তাই মনে হচ্ছে। অর্থ পাচার হয়েছে কিনা সেটা আমরা জানার চেষ্টা করছি। অডিট করলে সেটি স্পষ্ট হবে। এর সঙ্গে র‌্যাব ও সিআইডি জড়িত। তারাও কাজ করছে।

শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, আমরা এই অফিসের ভবন মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনি বলেছেন, ইভ্যালির রাসেল দম্পতি প্রায়ই দেশের বাইরে যেতেন, দুবাই যেতেন। সেটাও একটি কারণ।

মানিক বলেন, সিন্দুকের পাসওয়ার্ড রাসেল জানতেন না, তিনি বলেছিলেন, ডায়েরিতে লেখা ছিল। যেটি ভবন মালিক চুরি করে নিয়ে গেছে। লকার ভেঙেও টাকা মিললো না। অথচ বলছেন, এখানে টাকা থাকার কথা ছিল এবং ইনভেলাপ ছিঁড়ে টাকা বের করা হয়েছে।

এই ক্ষেত্রে ভবন মালিককে আপনারা সন্দেহ করছেন কিনা বা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন কিনা? জানতে চাইলে মানিক বলেন, আমরা নিচের লকারে বেশ কিছু ইনভেলাপ ছেঁড়া পেয়েছি। সেখানে টাকা ছিল, সেই টাকা এখন নাই। মূল্যবান জিনিসপত্র চুরির অভিযোগ করেছে রাসেল। সরঞ্জাম চুরির অভিযোগে চুরির মামলা দিয়েছি। একদিন রিমান্ডেও ছিল ভবন মালিক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বোর্ডের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি রেজাউল আহসান, আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মো. শামীম আজিজ, অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, এফসিএ অ্যান্ড এফসিএমএ এর সাবেক চিপ চার্টার্ট অ্যাকাউন্টেন্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাত।

এর আগে, ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসের দুটি লকারের পাসওয়ার্ড না পেয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভাঙা হয়েছে। সেই দুটি লকার ভাঙার পর দেখা যায়- দুই লকার মিলিয়ে দেড় শতাধিক বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই। প্রথম লকারে মেলেনি টাকা, দ্বিতীয় লকারে মিলেছিল মাত্র ২৫৩০ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জনুয়ারি ৩১, ২০২২
এমএমআই/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।