ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

মাদক নিরাময় কেন্দ্রে যুবককে নির্যাতন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
মাদক নিরাময় কেন্দ্রে যুবককে নির্যাতন

বরিশাল: বরিশাল নগরের সিএন্ডবি রোডের ‘সেইভ দ্যা লাইফ’ নামের একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে এক যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

বিষয়টি টের পেয়ে স্বজনরা ওই মাদক নিরাময় কেন্দ্র ও এর মালিক মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের মালিকানাধীন একটি রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

নির্যাতনের শিকার মো. সোহেল ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাকে অসুস্থ অবস্থায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে।  

ত্রিশোর্ধ্ব সোহেলের স্বজনরা জানায়, তাদের সন্তান মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার কারণে ১৩ জানুয়ারি সোহেলকে ‘সেইভ দ্যা লাইফ’ মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করনো হয়। ভর্তির প্রথম দিনে সোহেলকে হাতকড়া পরিয়ে এবং লোহার খাটে রেখে নির্যাতন শুরু হয় এবং খাবারেও তাকে কষ্ট দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি জানতে পেরে স্বজনরা বুধবার সন্ধ্যা রাতে তাকে নিয়ে যায়। কিন্তু বাসায় ফেরার পরে সোহেল অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে ‘সেইভ দ্যা লাইফ’ ও এর মালিকের রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর করে।  

এই হামলায় অন্তত ২৫ থেকে ৩০ যুবক অংশ নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।

সোহেলের স্ত্রী মরিয়ম জেবু জানান, তার স্বামীকে নির্যাতনের ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছেন।  

নিরাময় কেন্দ্রের মালিক শাখাওয়াত হোসেন মিঠু বলেন, মাদকাসক্ত সোহেলকে নির্যাতন করা হয়নি। বুধবার সন্ধ্যার পর স্বজনরা এসে তাকে বাসায় নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই অন্তত ২০ থেকে ৩০ যুবক একত্রিত হয়ে আকস্মিক দুটি প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এতে আমাদের ৫ কর্মী আহত হলে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম যায়।

কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক সেলিম রেজা জানান, সেইভ দ্যা লাইফ মাদক নিরাময় কেন্দ্রে মাদকাসক্ত যুবককে নির্যাতনের অভিযোগে স্বজনরা দুটি প্রতিষ্ঠানে হামলা করে এমন খবর ছিল। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তদন্ত করে বিস্তারিত জানাবো।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭,  ২০২২

এমএস/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।