ঢাকা: একযুগ পর বৈঠকে বসার মাধ্যমে সচল হচ্ছে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরিষদ (এনসিএসটি)। আগামী ২৭ জুন সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক বসছে।
বৈঠকে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতিমালা-১৯৮৬’র সংশোধন, দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিস্তারে আইসিটির ভূমিকা নির্ধারণ, পরমানু বিদ্যুত কেন্দ্র স্থ্পান এবং গবেষণা নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা গেছে।
রোববারের বৈঠকে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতিমালা- ১৯৮৬ সংশোধন করে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী নীতিমালা চুড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হতে পারে। ১৯৮৬ সালে বিদ্যমান নীতিমালা প্রণীত হয়। নীতিমালা সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ একাডেমি অব সাইন্সের সাধারন সম্পাদক ও পরমানু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. নঈম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করছে। এরইমধ্যে কমিটি নীতিমালা সংশোধনের একটি খসড়া মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। জনসাধারণের মতামতের জন্য তা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে।
এ ছাড়া দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের প্রতি ব্যাপকভাবে আইসিটির ব্যবহার করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ২০২১ সালের মধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার নির্দেশ, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।
সরকারি ও বেসরকারি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা ও সমন্বয় করতে একটি সুর্নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশ একাডেমি অব সাইন্স বা প্রখ্যাত গবেষকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা হতে পারে বলে মন্ত্রণালয় সুত্র জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, তিনযুগ আগে ১৯৭৫ সালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত কর্মকান্ডের গতি ও দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য এনসিএসটি গঠিত হয়। এর প্রধান ছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি। গঠনের একযুগ পর প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৮ সালের ১৭ মার্চ। এর পাঁচ বছর পর দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৩ সালের ১ আগষ্ট। এর তিন বছর পর তৃতীয় বৈঠক হয় ১৯৯৬ সালের ৩ জুন। এর একবছর পর ১৯৯৭ সালের ২০ আগষ্ট অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ সভা।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বর্তমান সরকার দায়িত্ব নিলেও গত দেড় বছরে কোন বৈঠক করতে পারেনি এনসিএসটি। সর্বশেষ ও পরিষদের পঞ্চম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১২ বছর চারমাস আগে ১৯৯৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই ওই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন।
বাংলাদেশের সময় ২০৪৬ ঘন্টা, ২৫জুন, ২০১০ইং
ইউবি/এমএমকে