ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

নীলফামারীতে ইজিপিপি’র আওতায় কাজ করছেন সাড়ে ১৩ হাজার শ্রমিক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২২
নীলফামারীতে ইজিপিপি’র আওতায় কাজ করছেন সাড়ে ১৩ হাজার শ্রমিক নীলফামারীতে ইজিপিপি’র আওতায় কাজ করছেন সাড়ে ১৩ হাজার শ্রমিক।

নীলফামারী: নীলফামারীতে অতি-দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) আওতায় প্রথম পর্যায় জেলার ছয় উপজেলায় ১৩ হাজার ৫৫১ জন সুফলভোগী গ্রামের বিভিন্ন রাস্তাঘাট উন্নয়নে মাটি কাটার কাজ করছেন। এর মধ্যে নীলফামারী সদরে তিন হাজার ৩৬৫ জন, ডোমারে দুই হাজার ১০২, ডিমলায় দুই হাজার ৪৯৯, জলঢাকায় দুই হাজার ৬৪৫, কিশোরগঞ্জে এক হাজার ৭২৩ ও সৈয়দপুর উপজেলায় এক হাজার ২১৭ জন।

নীলফামারী সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ বলেন, সদরের ১৫ ইউনিয়নে তিন হাজার ৩৬৫ জন অতি-দরিদ্র কাজ করছেন। এর মধ্যে চওড়াবড়গাছায় ২৫৯ জন, গোড়গ্রামে ২৫১, খোকশাবাড়ীতে ২২২, পলাশবাড়ীতে ১৯৯, টুপামারীতে ২৪৪, রামনগরে ২০৫, কচুকাটায় ২১১, পঞ্চপুকুরে ১৮৫, ইটাখোলায় ২১৭, কুন্দুপুকুরে ২৬৩, সোনারায় ২৫১, সংগলশীতে ১৯৩, চড়াইখোলায় ২৪৬, চাপড়াসরমজানীতে ২২৬, লক্ষিচাপ ইউনিয়নে ১৯৩ জন।

তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সাল থেকে সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় কাজ করে আসছে, এতে একদিকে যেমন গ্রামের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হচ্ছে, তেমনি সুফলভোগীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ওবায়দুল ইসলাম জানান, এই ইউনিয়নে ২০৫ জন অতি-দরিদ্র মানুষ ৪০ দিন কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।

ওই ইউনিয়নের বাহালী পাড়া গ্রামের সুফলভোগী আবু বক্কর সিদ্দিক আবু (৪৫) বলেন, প্রায় পাঁচ বছর ধরে নানা রোগে শোকে বিনা চিকিৎসায় বিছানায় পড়ে আছি। এবার হামার চেয়ারম্যান আমার বউয়ের (স্ত্রীর) নামটা মাটি কাটার তালিকায় দিয়া ভালোই করছে।  

আবু বলেন, বহুদিন থাকি ভালমন্দ খাওয়াতো দূরের কথা, শরীরের চিকিৎসা দিবারও টাকা হাতে নাই। হামার এলার জন্যে সরকার ভালোই করছে।

২০২১-২২ অর্থ বছরে প্রথম পর্যায়ে ৪০ দিনের ইজিপিপি কর্মসূচিতে কাঁচা সড়কে মাটির কাজে জেলার ছয় উপজেলায় ১৩ হাজার ৫৫১ জন অতি-দরিদ্র (সুফলভোগী) এই কাজের সুযোগ পেয়েছে। তারা প্রতিদিন ৪০০ টাকা করে ৪০ দিনে মোট ১৬ হাজার টাকা পাবে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রমিজ আলম জানান, গরিব ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সহায়তাসহ সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছেন। এজন্য জেলার অতি-দরিদ্র, মৌসুমি বেকার, শ্রমিক পরিবারের জন্য এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এ বছর ইজিপিপি কর্মসূচির মাটি কাটা শ্রমিকদের পারিশ্রমিক মোবাইল ব্যাংকিং রকেটের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২২
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।