ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

জিকে সেচ প্রকল্পের পাম্প সচল করলেন দেশি প্রকৌশলীরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
জিকে সেচ প্রকল্পের পাম্প সচল করলেন দেশি প্রকৌশলীরা

ঢাকা: দেশীয় প্রকৌশলীদের মেরামত করা পাম্প দিয়ে সচল হয়েছে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের রবি মৌসুম। বিদেশি প্রকৌশলীরা যা মেরামত করতে প্রায় ১৭ কোটি টাকা চেয়েছিল, সেখানে দুই কোটি ৮৯ লাখ টাকায় মেরামত করেছেন দেশীয় প্রকৌশলীরা।

 

সচলের পর মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পাম্প হাউসে সুইচ টিপে এ মৌসুমের সেচ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম। এর আগে পাম্প হাউসের ৩ নম্বর পাম্পটি মেরামত করেন দেশীয় অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলীরা।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ বিষয়ে অটোকনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী আজাদ জানান, এতে ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনের ব্যবস্থা সংযোজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ঢাকা থেকেও বসে সরাসরি পাম্পগুলো কী পরিস্থিতিতে আছে তা জানতে পারবে, সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

তিনি বলেন, বিদেশি প্রকৌশলীরা যা মেরামত করতে প্রায় ১৭ কোটি টাকা চেয়েছে। সেখানে আমরা তা ২ কোটি ৮৯ লাখ টাকায় মেরামত করে দিয়েছি।

জিকে পাম্প হাউসের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, হাউসের তিনটি পাম্পের মধ্যে আজ একটি চালু করা হয়েছে। একটি পাম্প দিয়ে এখন প্রতি সেকেন্ডে ৬৫০ কিউবিক ফুট পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এই পানি খালের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে যেতে আরও দুই দিন সময় লাগবে।  

তিনি বলেন, এক নম্বর পাম্পটির কিছু ত্রুটি রয়েছে, সেটি মেরামত করে দু-একদিনের মধ্যেই সচল করা যাবে। অন্যটি অর্থাৎ দুই নম্বরটি মেকানিক্যাল সমস্যা হয়েছে। এটিও মেরামতের জন্য টেন্ডার হয়েছে।  

পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম বলেন, প্রকৌশলীরা একটি পাম্প সচল করায় প্রকল্পের সক্ষমতা বেড়েছে। এবার কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা দেওয়া যাবে। এতে করে বোরো ধানের উৎপাদন বাড়বে।  

সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জিকে সেচ প্রকল্পকে ১৯৭২ সালে জাতীয়করণ এবং ১৯৭৩ সালে পুনর্গঠন করেন জানিয়ে অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সিইও মো. নাজমুল হাসান মেহেদী বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এই মাহেন্দ্রক্ষণে বিদেশিদের স্থলাভিষিক্ত করে তিন নম্বর প্রধান পাম্পটি পুনরুজ্জীবিত করতে পেরে আমরা দেশীয় প্রকৌশলী হিসেবে অনেক আনন্দিত ও গর্বিত।  

১৯৫৪ সালে কুষ্টিয়া অঞ্চলের প্রায় ৪ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দিতে গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। এর মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমে কৃষিতে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। খালগুলো ভরাট হয়ে বর্তমানে এ প্রকল্পের আওতা কমে এসেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।