ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অবৈধভাবে বসানো মেলা বন্ধের নির্দেশ ইউএনওর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২২
অবৈধভাবে বসানো মেলা বন্ধের নির্দেশ ইউএনওর

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে দেওয়ান শাহ দরবারে অবৈধভাবে বাসানো মেলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন।

করোনা প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে মেলা প্রাঙ্গনে গিয়ে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি।

এ সময় ইউএনওর নির্দেশে মেলা আয়োজনের দায়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ওবায়েদুর রহমান হিরনকে আটক করে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওয়ান শাহ মাজারে শত বছর থেকে বাৎসরিক ওরশের আয়োজন করা হয়। এবার ২৫ জানুয়ারি ওরশের দিন নির্ধারণ করা হয়। ওরশকে কেন্দ্র করে সপ্তাহব্যাপী মেলা বসায় আয়োজক কমিটি। দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা মেলা প্রাঙ্গণে পসরা বসায়। মেলার আয়োজকরা এসব ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে থাকেন। দোকান প্রতি ২০-২৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেন আয়োজকরা। মেলার আয়োজনকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর চন্দ্রগঞ্জ আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।

এবারও মেলার আয়োজক হওয়া নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ ১৫ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত মেলার দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক বলেন, মেলা আয়োজনের কোনো অনুমতি ছিল না। কিন্তু ইউপি সদস্য ওবায়েদুর রহমান হিরন সুকৌশলে মেলা বসিয়েছে। ফলে তাকে আটক করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবারের মধ্যে তিনি মাজার এলাকা থেকে সবকিছু অপসারণ করে নেবেন।

ইউএনও মো. ইমরান হোসেন বলেন, করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সমাবেশ নিষিদ্ধ। কিন্তু চন্দ্রগঞ্জের দেওয়ান শাহ মাজারের ওরশকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। যার কোনো অনুমতি ছিল না। ফলে মেলা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সবকিছু অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

চলতি বছর মেলার আয়োজন নিয়ে চন্দ্রগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন এবং চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন করেন। এ নিয়ে দু’জন বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। বিরোধকে কেন্দ্র করে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে কাজী বাবলু ও তার সহযোগীসহ দুইজন হামলার শিকার হয়েছেন। ঘটনার জন্য চেয়ারম্যান নুরুল আমিনকে দায়ী করেছেন ছাত্রলীগ নেতা কাজী বাবলু। আর বিষয়টি সাজানো দাবি করেছেন চেয়ারম্যান নুরুল আমিন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২২
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।